সোমবার, ২ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনি ঠেকাতে হাই কোর্টের পাঁচ নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনির নামে মানুষ হত্যা বন্ধে পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়েছে হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেয়। রাজধানী ঢাকার বাড্ডায় গণপিটুনিতে নিহত তাসলিমা বেগম রেণুকে হত্যার ঘটনায় জারি করা রুলের শুনানি শেষে এসব নির্দেশনা দেয় আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।

পাঁচ দফা নির্দেশনা হচ্ছে- এক. পুলিশের প্রত্যেক সার্কেল অফিসার (এএসপি) তার অধীনে প্রতিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে ছয় মাসে অন্তত একবার গণপিটুনি প্রবণতার বর্তমান অবস্থা নিয়ে বৈঠক করবেন। দুই. গণপিটুনির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে গণমাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার প্রচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। তিন. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে কোনো ধরনের অডিও, ভিডিও, খুদে বার্তা যা গুজব সৃষ্টি বা গণপিটুনিতে মানুষকে উত্তেজিত করতে পারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পাশাপাশি যে দুষ্কৃতকারীরা এ কাজে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। চার. যখনই গণপিটুনির কোনো ঘটনা ঘটবে কোনোরকম দেরি না করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এফআইআর নিতে বাধ্য থাকবে এবং তা সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারকে বিষয়টি অবহিত করবেন। পাঁচ. গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেণু হত্যার ঘটনায় ঢাকার জেলা শিক্ষা অফিসার এবং উত্তর বাড্ডা প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক অবহেলার ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। একটি গুজবকে কেন্দ্র করে ২০ জুলাই উত্তর বাড্ডায় গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেণুকে হত্যার প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন। পরে আদালত রুল জারি করেন। রুলে গত বছর ২৬ আগস্ট গণপিটুনিতে নিহতদের জীবন রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চায় আদালত। একই সঙ্গে গণপিটুনির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে।

সর্বশেষ খবর