মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

সন্তান স্ত্রীর পর চলে গেলেন শহীদুলও

নিজস্ব প্রতিবেদক

সন্তান স্ত্রীর পর চলে গেলেন শহীদুলও

রাজধানীর মগবাজার দিলু রোডে পাঁচতলা ভবনের গ্যারেজে আগুনের ঘটনায় নিহত ছেলে রুশদি ও স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসীর পথ ধরে পরপারে পাড়ি জমালেন শহীদুল কিরমানি রনিও। গতকাল সকাল সাড়ে ৬টায় ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। এর আগে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় সেখানেই মৃত্যু হয় চিকিৎসাধীন স্ত্রী জান্নাতুল  ফেরদৌসীর। তার শরীরে ৯৫ শতাংশ পোড়া ছিল। এই নিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচজনে। বৃহস্পতিবার ভোরে আগুনে শিশু রুশদিসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন শিশু রুশদির বাবা শহীদুল কিরমানি রনি (৩৯) ও মা জান্নাতুল ফেরদৌসী (৩৪)। ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল জানান, শহীদুলকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। তার শরীরের ৪৩ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। দিলু রোডের আবাসিক এলাকায় ওই বাড়ির নিচতলায় গ্যারেজের পাশে ছিল বায়িং হাউসের গুদাম। ধারণা করা হয়, সেখানেই সিঁড়িঘরের বৈদ্যুতিক বোর্ড থেকে আগুন প্রথমে গুদামে ও পরে গ্যারেজে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে পাঁচ বছরের শিশু রুশদিসহ ‘ক্ল্যাসিক ফ্যাশন’ নামের ওই বায়িং হাউসের কর্মচারী আবদুল কাদের (৪৫) ও ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী আফরিন জান্নাত ওরফে জ্যোতি (১৭) মারা যান। আফরিন জান্নাতের মা লাল বানু ও বাবা গণপূর্তের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ছাদ থেকে দড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে গুরুতর আহত হন। স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র শহীদুল স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ওই ভবনের তৃতীয় তলায় থাকতেন। আগুন লাগার পর প্রাণে বাঁচতে ছেলে রুশদিকে কোলে নিয়ে স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসীসহ নিচে নামছিলেন। কিন্তু ফ্ল্যাট থেকে বের হতে গিয়ে ঘন কালো ধোঁয়ার মধ্যে পড়েন তারা।

একপর্যায়ে রুশদি বাবার হাত থেকে পড়ে যায়। জান্নাতুলও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে তিনতলার সিঁড়িতেই রুশদির লাশ পাওয়া যায়।

জানা যায়, শহীদুল পুলিশ প্লাজায় ‘ভিআইভিপি এস্টেট ম্যানেজমেন্ট’ নামে একটি কোম্পানির ম্যানেজার ছিলেন। তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসী বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের অর্থ বিভাগে কাজ করতেন।

সর্বশেষ খবর