শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি গ্রেফতার ৬

মুদ্রা জালিয়াত চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি থাকা অবস্থায় বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে মোস্তফা কামাল ওরফে লিটন। এরপর ২০০৮ সালে একটি সংঘবদ্ধ দল তৈরি করে। ওই দলটি ছিনতাই-ডাকাতির ঘটনাও ঘটিয়ে থাকে। সংঘবদ্ধ হওয়ার পর ওই দলটি পরিকল্পনা করে ডিবি সেজে ডাকাতি করবে। প্রথমে চুরি ও ছিনতাইয়ের টাকায় অস্ত্র সংগ্রহ করে বিদেশি অস্ত্র, ডিবির জ্যাকেট, ওয়াকিটকি ও হ্যান্ডকাফসহ পুলিশের বিভিন্ন সরঞ্জাম ক্রয় করে। একপর্যায়ে ডিবির পোশাক পরে হয়ে ওঠে ভয়ঙ্কর ডাকাত। গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর তুরাগের ধউর এলাকায় এই চক্রের প্রধানসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১-এর সদস্যরা। তারা হলো- চক্রের প্রধান মোস্তফা কামাল ওরফে লিটন, শাহাব উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, নাছির উদ্দিন, আলমগীর শেখ ও শফিকুল ইসলাম। তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি, চারটি চাপাতি, চারটি ওয়াকিটকি সেট, দুটি ডিবি জ্যাকেট, একটি হ্যান্ডকাপ, দুটি ডিবি পুলিশের ভুয়া আইডি কার্ড ও ১২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গতকাল র‌্যাব-১-এর এএসপি সালাহ উদ্দিন আহমেদ রাব্বি এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, মোস্তফা কামাল ওরফে লিটন ডাকাত চক্রের অন্যতম হোতা। তার বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় প্রায় ২২টি মামলা রয়েছে। লিটনের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিল গ্রেফতার শাহাব উদ্দিন। আরও সাত-আটজনকে নিয়ে এই সংঘবদ্ধ ডাকাত দলটি গঠন করে তারা। পুলিশের হাতে একাধিকবার গ্রেফতার হওয়ার পরও দিনদিন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে।

এএসপি সালাহ উদ্দিন আরও জানান, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তারা ১৫০টিরও বেশি ডাকাতি ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছে। মঙ্গলবার রাতে তুরাগ এলাকায় নিয়মিত টহলের সময় দেখা যায় যে-ধউর বেড়িবাঁধ এলাকায় একটি মাইক্রোবাস হতে ডিবি পুলিশের জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় ৮-১০ জনের একটি দল রাস্তায় গাড়ি থামানোর চেষ্টা করছে। বিষয়টি ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত র‌্যাব-১-এর টহল দলের কাছে সন্দেহ হলে তারা দ্রুত মাইক্রোবাসটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে তাদের হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে এই চক্রটি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাংকের গ্রাহকদের অপহরণ ও অর্থ ছিনিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকে। প্রথমত তাদের দলের ১/২ জন ছদ্মবেশে ব্যাংকের বাইরে, ২/৩ জন গ্রাহকের ছদ্মবেশে ব্যাংকের ভিতরে প্রবেশ করে এবং মূল দলটি মাইক্রোবাসসহ সুবিধাজনক স্থানে অপেক্ষা করতে থাকে। ভিতরের একজন ব্যাংক থেকে বের হয়ে এসে বাইরের জনকে টার্গেট বুঝিয়ে দেয় অথবা সরাসরি তারা মোবাইলের মাধ্যমে মূলদল বাইরে অবস্থানরত দলকে জানায়। পরে মাইক্রোবাসটি পেছন থেকে অথবা কখনো সামনে থেকে এসে সুবিধাজনক স্থানে ভিকটিমের গতিরোধ করে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়।

মুদ্রা জালিয়াতি চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার : রাজধানীর বনানী থেকে বৈদেশিক মুদ্রা জালিয়াতি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। তারা হলেন- সেন্টু মুন্সি ও দেলোয়ার মোল্লা। মঙ্গলবার মহাখালী কাঁচা বাজার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০০ রিয়াল সমমানের বৈদেশিক মুদ্রা এবং কাগজ দিয়ে বান্ডিলকৃত ভুয়া বৈদেশিক মুদ্রা জব্দ করা হয়। সিআইডির অতিরিক্ত এসপি ফারুক হোসেন জানান, জালিয়াতি চক্রটি নিরীহ মানুষদের প্রথমে অল্প পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেখিয়ে বিশ্বাস অর্জন করে। পরে একটি থলের ভিতর আরও বৈদেশিক মুদ্রা আছে জানিয়ে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়। থলে খোলার পর তার ভিতরে কাগজ ও পত্রিকার অংশ ছাড়া কিছুই পাওয়া যায় না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর