বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
ধর্ষণচেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ

ঢাকায় দুই ওসির বিরুদ্ধে মামলা

আদালত প্রতিবেদক

ধর্ষণচেষ্টা ও অপহরণের অভিযোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম কাজল ও পুলিশের এক এসআইসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক নারী। এদিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে রাজধানীর দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার শামীম হোসেনসহ ১০ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া এ মামলায় আরও একজনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণচেষ্টা ও অপহরণের অভিযোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম কাজলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল যাত্রাবাড়ী থানা এলাকার একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলার বাসিন্দা এক নারী এ মামলা করেন। ঢাকার তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ঘটনার বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- মো. সোহেল, মো. মিরাজ আলী, মো. জিহাদ ও এসআই ওসমান আলী।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টায় আসামি সোহেল ও মিরাজ বাদীর স্বামীকে খুঁজতে বাদীর বাসায় আসেন। স্বামীকে না পেয়ে তারা বাদীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় বাদী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। এরপর আসামিরা বাসা থেকে চলে যান।এদিকে গতকাল রাজধানীর দক্ষিণখান থানার হজ ক্যাম্প এলাকার আশকোনা পূর্বপাড়া এলাকার একটি বাড়ির ৪৩ বছর বয়সী এক নারী শ্লীলতাহানির অভিযোগে দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার শামীম হোসেনসহ ১০ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ ছাড়া এ মামলায় আরও একজনকে আসামি করা হয়েছে। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫-এর বিচারক সামসুন্নাহার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ঘটনার বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল কাদির, আরিফ হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আ. রুপ, নুরুল ইসলাম, কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম, জয়েন উদ্দিন, মো. তৌফিক, রুনা আক্তার ও ইয়াসমিন আক্তার এবং বাদীর সৎ মা মার্জিয়া আক্তার পুতুল।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বাদীর সঙ্গে তার সৎ মায়ের ছেলে ইকবাল হোসেন সজলের জমিজমা নিয়ে মোকদ্দমা চলছে। সম্প্রতি আদালত মার্জিয়া আক্তার পুতুলকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়। এটা জানতে পেরে বাদী ও তার পরিবারকে উচ্ছেদের জন্য ফ্ল্যাটে ছুটে যান মার্জিয়া। ওসি শিকদার মো. শামীম হোসেন মামলা সম্পর্কে অবগত থাকা সত্ত্বেও মার্জিয়ার কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণ করে বাদীর বাসায় দরজা ভেঙে প্রবেশ করেন। ওসি বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তিনি বাদীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে হাত দিয়ে লাঞ্ছিত করেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, এসআই আবদুল কাদির বাদীকে নির্যাতন করেন। ওসি সেখানে উপস্থিত এক সাক্ষীকেও শ্লীলতাহানি করেন। বাদী ও সাক্ষীকে তখনই বের হয়ে যেতে বলেন ওসি। বের না হলে তাদের গণধর্ষণের হুমকি দেন তিনি। এ সময় বাদীর ১১ বছরের মেয়ে চিৎকার করলে ওসি মামলার তিন নম্বর সাক্ষীর গালে থাপ্পড় মেরে রক্তাক্ত করেন। বাদীর স্বামী ও ২ নম্বর সাক্ষীর স্বামী মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করতে থাকাবস্থায় ওসির নির্দেশে অন্য পুলিশ সদস্যরা তাদের মোবাইল কেড়ে নেন এবং মারধর করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর