শুক্রবার, ৬ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

রাজধানীর ফ্ল্যাট থেকে উপসচিবের গলিত লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ফ্ল্যাট থেকে উপসচিবের গলিত লাশ উদ্ধার

রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আবদুল কাদের চৌধুরীর (৬০) অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার বিকালে বেইলি স্কয়ার কোয়ার্টারের ১ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়। পাঁচ-ছয় দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

মৃতের ফুফাতো ভাই কামাল হোসেন কবির জানান, আবদুল কাদের হার্ট ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। গত এক বছর আগে তিনি এই সমস্যার কারণে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ভোলার শশীভূষণ থানার চরমাদ্রাজে। গত ১৫ দিন আগে তিনি গ্রামের বাড়ি থেকে ঘুরে আসেন। বেইলি রোডের ওই বাসায় তিনি একাই থাকতেন। গত এক সপ্তাহ ধরে তার কোনো খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ওই বাসা থেকে তার পচন ধরা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিত ছিলেন। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। রমনা থানার এসআই মো. ইউনুচ মোল্যা জানান, গত ৭-৮ দিন ধরে আবদুল কাদের চৌধুরী অফিসে যাচ্ছিলেন না। সহকর্মীরাও যোগাযোগ করে তাকে পাননি। বুধবার তার পাশের ফ্ল্যাটের লোকজন পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটকে নিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে তার পচন ধরে যাওয়া লাশ দেখতে পায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কয়েকদিন আগেই অসুস্থজনিত কারণে তিনি মারা গেছেন। গতকাল দুপুরে ঢামেক মর্গে তার লাশ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।

মৃতের স্বজনরা জানিয়েছেন, গ্রামের বাড়িতে তার লাশ দাফন করা হবে। পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার এস এম শামীম বলেন, মৃত আবদুল কাদের চৌধুরীর দুই পা নিচে ছিল। দেহ ছিল খাটের ওপরে। লাশের পাশে ওষুধ ছড়ানো-ছিটানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, অসুস্থ হয়ে তিনি সেখানে পড়ে ছিলেন। জানা গেছে, তিনি মানসিক হতাশায় ভুগছিলেন। পরিবারের সঙ্গে তার তেমন যোগাযোগ ছিল না।

সর্বশেষ খবর