রাজশাহীর পদ্মা নদীতে দুটি নৌকা ডুবে অন্তত ২০ জন নিখোঁজ হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭-৮ জন শিশুও আছে। এর মধ্যে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

গতকাল সন্ধ্যার পর রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর এলাকার বিপরীতে মধ্য পদ্মায় এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। সাতজন জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিয়ের ফিরতি অনুষ্ঠান শেষে বরের বাড়ি থেকে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খাদিমুল নৌকার মাঝি ছিলেন। রতন ও তার স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন জীবিত উদ্ধার হলেও তাদের মেয়ে মরিয়ম খাতুন (৬) মারা গেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাবা-মায়ের সঙ্গে তাকে উদ্ধার করা হয়। আর মেয়েকে নিয়ে সাঁতরে উঠেছিলেন সুমন-নাসরিন দম্পতি। নৌকাডুবির পর আশপাশের অসংখ্য মানুষ এবং স্বজনরা শ্রীরামপুর এলাকায় নদীপাড়ে ভিড় করেন। ছিলেন প্রশাসনের কর্মকর্তারাও। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি শুরু করেছে। বিজিবি সদস্যরাও স্পিডবোট নিয়ে নদীতে ভাসমান মানুষ খুঁজছেন। নদীপাড়ে প্রস্তুত ছিল অ্যাম্বুলেন্স।

শ্রীরামপুর এলাকার এক নারী জানান, দুপুরে তিনি অন্তত ৩৫ জনকে চরে যাওয়ার জন্য নদীর দিকে যেতে দেখেছেন। তাদের সঙ্গে ৭-৮ জন শিশুও ছিল। তারা দুটি নৌকায় চড়ে চরে গিয়েছিলেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুর রউফ জানিয়েছেন, দুটি নৌকায় ৩৫ জনের মতো যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ১৭ জন নারী ও ৬ জন শিশু। সন্ধ্যায় দুই নৌকা ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। কতজন নিখোঁজ রয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।