ভিজ্যুয়াল আর্ট, পারফর্মিং আর্ট, স্থাপত্যকলা, আলোকচিত্র ও চিত্রকর্মের শৈলীতে সেজেছে রাজধানীর অভিজাত বনানীর ঢাকা গ্যালারি। এসব শিল্পকর্মে যেমন উঠে এসেছে বৈচিত্র্যময় যাপিত জীবন, ঠিক তেমনি স্থান পেয়েছে শিশু নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতার ভয়াবহতার প্রতিচ্ছবি। এমন নানা শিল্পকর্মে এগারো নারী শিল্পী গ্যালারিতে উপস্থাপন করেছেন সমাজ ও রাষ্ট্রের স্বরূপ। আর এসব শিল্পকর্ম নিয়ে ‘ওরা ১১ জন’ শিরোনামের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ আর্ট উইক। প্রদর্শনীর শিল্পীরা হলেন ফরিদা জামান, আইভি জামান, দিলরুবা বেগম জলি, রোকেয়া সুলতানা, কনকচাঁপা চাকমা, নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা, আয়েশা সুলতানা, তাসনিম তারিক, সালমা আবেদিন পৃথী, ফারজানা হক ও রুমানা ইসলাম।
গতকাল বিকালে বনানীর ১২ নম্বর রোডের ঢাকা গ্যালারিতে দলীয় এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন। বক্তৃতা করেন নিটল-নিলয় গ্রুপের ভাইস- চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সেলিমা আহমেদ, আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা নীহারিকা মমতাজ ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ মহসিন।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বলেন, এদেশের সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ। দিনে দিনে শিল্প-সংস্কৃতির ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে। পুরুষের পাশাপাশি সংস্কৃতিতে নারীদেরও ব্যাপক অবদান রয়েছে। তারা এখন আর কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। ‘ওরা ১১ জন’ প্রদর্শনীটিই এর বাস্তব প্রমাণ। শিল্পকর্মগুলো দেখে আমি রীতিমতো অভিভূত। এ প্রদর্শনীতে আসতে পেরে আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।১৪ মার্চ শেষ হবে এই প্রদর্শনী।
অলিয়ঁস ফ্রঁসেজে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ : সত্তর দশকের গোড়ার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক প্রতিকৃতি ধারণ করেছিলেন নাসির আলী মামুন। খুব কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুর কিছু দুর্লভ মুহূর্তকে ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দী করে রেখেছেন তিনি। দুর্লভ ও অপ্রকাশিত ঐতিহাসিক সেসব ছবি নিয়েই ধানমন্ডির অলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যালারিতে শুরু হয়েছে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক প্রদর্শনী। গতকাল বিকালে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত জ্যঁ মারা সু। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন অলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার পরিচালক অলিভিয়ে দতজে।
৮ মার্চ রবিবার, ১৩ মার্চ শুক্র ও ১৪ মার্চ শনিবার বন্ধ ছাড়া সোম থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং শুক্র ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা এবং বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি সবার জন্য খোলা থাকবে। ২৪ মার্চ শেষ হবে এই প্রদর্শনী। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সব মুক্তিযোদ্ধার প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে এ প্রদর্শনী।
ওয়াহিদুল হক স্মরণে কণ্ঠশীলনের উৎসব : আগামী ১৬ মার্চ কণ্ঠশীলনের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ওয়াহিদুল হকের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ‘ওয়াহিদুল হক স্মারণিক মিলনোৎসব ২০২০’ উৎসবের আয়োজন করেছে কণ্ঠশীলন। আলোচনা, স্মৃতিচারণ, নাচ, গান, আবৃত্তিসহ নানা আয়োজনে সাজানো হয়েছে ‘মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান’ শিরোনামের এই উৎসব। পাবলিক লাইব্রেরির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে রং- বেরঙের বেলুন উড়িয়ে গতকাল সকালে দুই দিনের এই উৎসবের উদ্বোধন করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উৎসবের প্রধান অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।