শনিবার, ৭ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
জেলার রাজনীতি নারায়ণগঞ্জ

শক্তিশালী আওয়ামী লীগ টিকে আছে বিএনপি

রোমান চৌধুরী সুমন, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগের দ্বিধাবিভক্তি অনেক পুরনো। অন্যদিকে বিএনপিতে কোন্দল থাকলেও অস্তিত্ব ধরে রেখেছে। নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পাঁচশর বেশি মামলার খড়গ নিয়েও দলটি সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রাণভোমরা শামীম ওসমান। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক। জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনেই তার যথেষ্ট প্রভাব। দলের অপর নেতা সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী নিজস্ব বলয় নিয়ে আলাদাভাবে রাজনীতি করছেন। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন জেলা সভাপতি আবদুল হাই, সহসভাপতি সিটি মেয়র আইভী ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত বাদল। জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে শামীম ও আইভী দ্বন্দ্ব থাকলেও শামীম ওসমান বলয়ের সঙ্গে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয় পার্টির এমপি সেলিম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় পার্টির অপর এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। অপরদিকে সিটি মেয়র আইভী বা পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সঙ্গে আছেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসন আড়াইহাজারের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু। এই দুই বলয় নিয়েই চলছে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি। এদিকে ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কাজী মনিরুজ্জামানকে সভাপতি, মামুন মাহমুদকে সেক্রেটারি করে জেলা বিএনপির ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। তিন বছরের মাথায় গত ২১ ফেব্রুয়ারি কাজী মনির ও সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের এই আমলে সৌভাগ্যবশত আওয়ামী লীগের অনেক নেতার চেয়ে বেশি প্রভাবশালী হয়ে উঠেছেন বিএনপির আলোচিত চার নেতা। এরা হলেন- সম্প্রতি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, বিএনপি নেতা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদ বিশ্বাস, যুবদল নেতা সিটি কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু, বিএনপি নেতা বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর মুকুল। তবে সরকারবিরোধী কর্মসূচিতে রাজপথে মিছিল মিটিংয়ে অংশ নিচ্ছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা। বিএনপিতে রয়েছে নেতাভিত্তিক চরম কোন্দল।

সর্বশেষ খবর