শনিবার, ৭ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

পিয়াজের দামে স্বস্তি, সবজিতে অস্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

পিয়াজের দামে স্বস্তি, সবজিতে অস্বস্তি

বাজার দর

রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারগুলোতে পিয়াজের দামে স্বস্তি আসা শুরু হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পিয়াজের দাম কমেছে ২০ টাকা। টানা দুই সপ্তাহে কমেছে ৪০ টাকা। ফলে প্রতি কেজি দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা।

মিয়ানমারের পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। তবে শীতের বিদায়ে সবজির দাম বাড়ায় অস্বস্তির দেখা মিলেছে বাজারে। মাছের বাজারও চড়া। অপরিবর্তিত রয়েছে আদাসহ অন্যান্য মসলা ও চাল, ডাল, আটা-ময়দা, ভোজ্যতেলসহ অন্য পণ্যের দাম। গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, ফকিরাপুল, রামপুরা, শান্তিনগর, মালিবাগ, হাজীপাড়া, খিলগাঁও, কমলাপুর, টিঅ্যান্ডটি, সিপাহীবাগ, পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার, নারিন্দা বাজার, শাঁখারি বাজার, ধোলাইখাল (পুকুরপাড়) এলাকার বাজার ঘুরে এমন চিত্রের দেখা মিলেছে। এসব বাজারে ভালো মানের দেশি পিয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা। আমদানি করা ভালো মানের পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা। বাজার ভেদে মেহেরপুরের বড় পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আর আমদানি করা বড় পিয়াজের কেজি আগের সপ্তাহের মতো ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পিয়াজের দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রসুনের দাম। আমদানি করা চীনা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। আর দেশি রসুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। এ প্রসঙ্গে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী নোয়াব আলী বলেন, বাজারে এখন মেহেরপুরের পিয়াজ চলে এসেছে। আবার ভারতও রপ্তানি আদশে তুলে নিয়েছে। ফলে বাজারে সরবরাহে ঘাটতি নেই। তাই দাম কমছে। এদিকে সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম আবারও বেড়েছে। যদিও বাজারে সব ধরনের সবজি পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি নতুন আলু ২০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, মটরশুঁটি ৬০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, কাঁচা পেপে ৪৫ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, শিমের বিচি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ১২০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, পটোল ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস বড় সাইজের ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৩০ টাকা, লাউ ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা পিস বিক্রি হতে দেখা গেছে। অপরদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে গরু, মহিষ ও খাসির মাংসের দাম। কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা। আর কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা। এ ছাড়া কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে খাসির মাংস ৮৩০ টাকা, বকরি ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম কমেছে মুরগি ও ডিমের বাজারে। ১০ থেকে ২০ টাকা কমে প্রতি কেজি বয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, লেয়ার ২০০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৭০ টাকা, সোনালি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। কমেছে ডিমের দাম। ৫ থেকে ১০ টাকা কমে লাল ডিম প্রতি ডজন ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, দেশি ১৬০ টাকা, সোনালি ১৪০, হাঁস ১৩০ থেকে ১৪০, কোয়েল ১০০ পিস ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে বেড়েছে মাছের দাম। ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বর্তমানে প্রতি এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০ থেকে ১১০০ টাকা, ৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬৫০ টাকা, ছোট ইলিশ আকারভেদে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে। কেজিতে ১০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি কাচকি ৩৫০ টাকা কেজি, মলা ৩৫০ টাকা, ছোট পুঁটি (তাজা) ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৪৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, বাগদা ৪৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, কাতল ২২০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল, চাল ও মসলা। খোলা সয়াবিন (লাল) বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা লিটার। খোলা সাদা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা লিটার। অপরিবর্তিত রয়েছে সরিষার তেলের দাম। খোলা সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা লিটার।

সর্বশেষ খবর