রবিবার, ৮ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

ঢাকা মাতল জয় বাংলা কনসার্টে

মোস্তফা মতিহার

ঢাকা মাতল জয় বাংলা কনসার্টে

রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে গতকাল জয়বাংলা কনসার্টে তারুণ্যের ঢল -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আর্মি স্টেডিয়ামে ছিল তারুণ্যের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। সন্ধ্যায় সুরের এই আসরে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানে ভিন্ন মাত্রা এনে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তার সঙ্গে আসেন ছোট বোন শেখ রেহানা। আর বিকাল থেকেই উপস্থিত ছিলেন সিআরআই ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা ও অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

সেন্টার অব রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলার তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয় এই অনুষ্ঠান।

‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতিকে মুক্তির পথে আহ্বান জানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১-এর ৭ই মার্চের সেই ভাষণে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেঁপে উঠেছিল লাখো জনতার ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে। মুক্তির প্রেরণাদায়ী সেই সেøাগানে গতকাল উদ্দীপ্ত হলো কানায় কানায় পরিপূর্ণ আর্মি স্টেডিয়াম। মঞ্চে বাজছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। বাক্যে বাক্যে, শব্দে শব্দে তারুণ্যের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস আর উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা স্টেডিয়ামে। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়েই শুরু হয় ষষ্ঠবারের এই আসর। এরপর ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক উক্তি। দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ডগুলোর পাশাপাশি এতে আরও সংগীত পরিবেশন করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ৫টি ব্যান্ডদল। এরপর একে একে মঞ্চ মাতান এফ মাইনর, মিনার, এভোয়েড রাফা, শূন্য, ভাইকিং, লালন, আরবোভাইরাস, ক্রিপটিক ফেইট,  নেমেসিস, ফুয়াদ অ্যান্ড ফ্রেন্ড এবং চিরকুট। নিজেদের জনপ্রিয় গানগুলোর পাশাপাশি আসরে স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে লালন ব্যান্ড পরিবেশন করে শোনো একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠ স্বরের ধ্বনি... সময় গেলে সাধন হবে না, খেপারে কেন তুই। ভাইকিংস গেয়ে শোনায় পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে রক্ত লাল রক্ত লাল রক্ত লাল। শূন্য ব্যান্ড গেয়ে শোনায় ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’সহ বেশ কয়েকটি দেশাত্মবোধক গান। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ও সংগীতের পাশাপাশি এতে আরও ছিল মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্র্যাফিক্যাল রিপ্রেজেন্টেশন। আসরের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ছিল হলোগ্রাফিক প্রজেকশন।

রাত ১১টায় শেষ হয় এবারের ‘জয় বাংলা কনসার্ট’।

সর্বশেষ খবর