সোমবার, ৯ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
নানা আয়োজনে নারী দিবস

নারীদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়াতে হবে : স্পিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারীর প্রতি বৈষম্য ও অন্যায়-অবিচারের অবসান ঘটিয়ে সম-অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বিশ্ব গড়ার প্রত্যয় নিয়ে নানা আনুষ্ঠানিকতায় গতকাল উদযাপিত হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ‘প্রজন্ম হোক সমতার, সব নারীর অধিকার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে শহীদ মিনারে প্রথম প্রহরে মোমবাতি প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হয়। রাজধানীসহ সারা দেশে বিভিন্ন সংগঠন র‌্যালি, মানববন্ধন, আলোচনা সভা, কেক কাটা ও উপহারসামগ্রী প্রদানের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। এ দিবসের অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, নারী নির্যাতন বন্ধ করতে পরিবার থেকেই নারীদের প্রতি বৈষম্য কমিয়ে আনার শিক্ষা দিতে হবে। পরিবারে নারীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ শিক্ষা দিলে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করা সহজ হবে। নারীর অধিকার ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ’৭২ সালের সংবিধানেই দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন। গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত ‘নারী উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানে প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনকে স্পিকার বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট ও উপহার তুলে দেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর হাতে নারী দিবসের শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, মানবজমিন সম্পাদক মাহবুবা চৌধুরী, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমা মিনু, বাংলাদেশের খবর সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, পিয়ালি বেগম প্রমুখ। কবিতা পাঠ করেন কবি হেলাল হাফিজ ও সোহরাব হাসান। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর আইন প্রয়োগ করতে হয়। আমাদের নারী নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। এজন্য পরিবার থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। স্পিকার আরও বলেন, ১৯৭২ সালের সংবিধানে বঙ্গবন্ধু নারীর জন্য সংসদে আসন সংরক্ষণসহ নারীর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। স্বাধীনতা অর্জনের পরই তিনি জাতিকে উপহার দিয়েছেন বিশ্বসেরা সংবিধান। ফরিদা ইয়াসমিন তার প্রবন্ধে যুদ্ধকালে নির্যাতিত নারীদের বীরাঙ্গনা খেতাব প্রদানসহ নারী অধিকার রক্ষায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

মোমবাতি প্রজ্বালন : এদিকে নারীর সমতার দাবিতে ‘আমরাই পারি’ পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে শনিবার দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিটে মোমবাতি প্রজ্বালন ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান উপস্থিত থেকে মোমবাতি প্রজ্বালন করেন। এ সময় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি ও সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খানম উপস্থিত ছিলেন।

 এ ছাড়া বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটির কনফারেন্স রুমে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপিত হয়েছে। নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ম্যানেজিং বোর্ডের সদস্য রেহানা আশিকুর রহমান।

সর্বশেষ খবর