মঙ্গলবার, ১০ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রতীক নিয়ে প্রচারে প্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

প্রতীক নিয়ে প্রচারে প্রার্থীরা

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রতীক বরাদ্দ দেন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী পেয়েছেন নৌকা প্রতীক, বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন ধানের শীষ প্রতীক, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের এম এ মতিন মোমবাতি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবুল মনজুর আম প্রতীক, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ওয়াহেদ মুরাদ চেয়ার প্রতীক এবং ইসলামী আন্দোলন                 বাংলাদেশের জান্নাতুল ইসলাম হাতপাখা প্রতীক পেয়েছেন। এ ছাড়া এদিন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের ২১৭ জন প্রার্থীর মধ্যেও প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রচার প্রচারণা : প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই হজরত আমানত শাহ (রহ.)-এর মাজার জেয়ারত করে গণসংযোগে নেমেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় তিনি পরিবেশবান্ধব সুন্দর ও নান্দনিক চট্টগ্রাম গড়তে কাজ করবেন বলে জানান। প্রথমদিন তিনি নগরীর পাথরঘাটা, বক্সিরহাট ও দেওয়ানবাজার ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তার সঙ্গে গণসংযোগের ট্রাকে ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ সালাম, প্রচার সম্পাদক সফিকুল ইসলাম ফারুক, প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি, নগর যুবলীগের সাবেক সভাপতি আলতাফ হোসেন বাচ্চুসহ বিপুল নেতা-কর্মী। গণসংযোগকালে মেয়র প্রার্থীর অনুসারীরা জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়ে আশপাশ মুখরিত করে তোলেন এবং নৌকা নৌকা ধ্বনিতে রব তোলেন। গণসংযোগের সময় মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী পাথরঘাটা ওয়ার্ডের পাথরঘাটা, বা-েল রোড, ইকবাল রোড, বক্সিরহাট ওয়ার্ডের চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, কোরবানিগঞ্জ এলাকার এবং দেওয়ান বাজার ওয়ার্ডের দিদার মাকের্ট, সিএন্ডবি কলোনি, বগারবিল এলাকার জনসাধারণের সঙ্গে করমর্দন ও কোলাকুলি করেন। এ সময় রেজাউল করিম এলাকাবাসীর কাছে দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করে একটি সুন্দর পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। পরিবেশবান্ধব নগরী গড়ে তোলার জন্য তিনি নগরবাসীর কাছে একবার সুযোগ প্রত্যাশা করেন, যাতে তিনি বিজয় লাভ করে চট্টগ্রামের নাগরিক সমস্যা নিয়ে কাজ করতে পারেন। উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী এবং বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর শাহ আমানত (রহ.)-এর মাজার জেয়ারত করতে গেলে সেখানে দুজনের দেখা হয়ে যায়। এ সময় দুজনই হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে তারা কুশল বিনিময় ও কোলাকুলি করেন। এদিকে করোনাভাইরাসের কথা চিন্তা করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় ভিন্নতা আনছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। করোনার সর্তকতার অংশ হিসেবে ‘ক্লোজ কন্টাক্ট’ কমিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কাজে লাগাতে চান এ চিকিৎসক। এরই মধ্যে ডিজিটাল প্রচারণা শুরু করেছেন তিনি।

পাশাপাশি সীমিত পরিসরে প্রচার-প্রচারণাও শুরু করেছেন। ডা. শাহাদাত বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সতর্কতা বিষয়টা মাথায় রেখেই প্রচারণার পরিকল্পনা করা হয়েছে। মিনি ট্রাকে করে প্রচারণা চালানোর চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। এতে করে ক্লোজ কন্টাক্ট কম হবে। আবার প্রচারণাও হবে। তবে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বেশি করে কাজে লাগাতে চাই।’ শাহ সুফি আমানত খান শাহ’র মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক গণসংযোগ শুরু করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। গণসংযোগের শুরুতে তিনি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের পাশে থেকে কাজ করার অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন। দুপুরে মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের গণসংযোগ শুরু করেন ডা. শাহাদাত। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তর জেলা বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন প্রমুখ। এরপর তিনি একে একে গণসংযোগ করেন পাথরঘাটা, ফিরিঙ্গিবাজার, আলকরণ, জুবলী রোড, নিউমার্কেট, নুর আহমেদ সড়ক এলাকাসহ নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর