বৃহস্পতিবার, ১২ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

ঝাঁকে ঝাঁকে বড় ইলিশ

রাহাত খান, বরিশাল

ঝাঁকে ঝাঁকে বড় ইলিশ

অনেকটা পানির দরে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে বরিশালে। স্মরণকালে বরিশাল মোকামে এত কমদামে বড় আকারের ইলিশ বিক্রি হয়নি। এজন্য ক্রেতা-বিক্রেতায় সরগরম বরিশালের ইলিশ মোকাম। আড়তদাররা জানিয়েছেন, বর্ষা মৌসুমের চেয়েও বেশি ইলিশ ধরা পড়ছে নদ-নদীতে। মৎস্য কর্মকর্তারা  বলছেন, ডিমওয়ালা মা ইলিশ ও জাঁটকা সংরক্ষণসহ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপে নদ-নদী এখন ইলিশে পরিপূর্ণ। যার সুফল পাচ্ছেন সবাই। বরিশালের পোর্ট রোড ইলিশ মোকামের আড়তদার মো. জহির সিকদার জানান, বর্ষা মৌসুমের চেয়ে বেশি ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে নদ-নদী ও সাগরে। আকারেও বেশ বড়। দামও হাতের নাগালে। স্মরণকালে এত কমদামে ইলিশ বিক্রি হয়নি বরিশালে। দাম কম থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখর বরিশালের ইলিশ বাজার। ইলিশ আড়তদার মো. নাসির উদ্দিন জানান, ইলিশের প্রচুর আমদানিতে দাম ক্রেতার হাতের নাগালে চলে এসেছে। গতকাল বরিশাল মোকামে দেড় কেজি আকারের প্রতিকেজি ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকা, এক কেজি ২০০ গ্রাম আকারের প্রতি কেজি ৭৮১ টাকা, কেজি আকারের প্রতি কেজি ৭০৫ টাকা, রপ্তানিযোগ্য (৬০০ থেকে ৯০০ গ্রাম) এলসি আকারের প্রতিকেজি ৬১২ টাকা, ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ভেলকা প্রতিকেজি ৫০০ টাকা এবং গোটলা ৩২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

 বরিশাল জেলা মৎস্য দফতরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে নদী, সাগর ও মোহনায় প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।

 বিগত বছরগুলোতে এই সময়ে প্রতিদিন গড়ে বরিশাল মোকামে আসতো ২/৩০০ মণ ইলিশ। এই মৌসুমে গড়ে প্রতিদিন সহস্রাধিক মণ ইলিশ আসছে। মা ইলিশ ও জাঁটকা সংরক্ষণ, অভয়াশ্রমে মাছ শিকারে ২ মাসের ও সমুদ্রে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা এবং অবৈধ জাল বিরোধী সরকারের কঠোর কার্যক্রমের সুফল পাচ্ছেন সবাই। মৎস্য বিভাগের চলমান কার্যক্রমে জনগণ সহায়তা করলে আগামীতে ইলিশ উৎপাদন আরও বাড়বে বলে আশা করেন ইলিশ বিশেষজ্ঞ ড. বিমল চন্দ্র দাস।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর