শুক্রবার, ১৩ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

জয়পুরহাটে ঘোড়ার মেলা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটে ঘোড়ার মেলা

বীর বাহাদুর, বিজলী, ফুলন দেবী, রাস্তার রানী, সুইটি, পাওয়ার হর্স, চালাও গুলিসহ হরেক নামের ঘোড়া নিয়ে জয়পুরহাটে জমেছে ঘোড়ার মেলা। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্নœ জেলা থেকে জয়পুরহাটের গোপীনাথপুরে আনা হয়েছে এসব বাহারি নামের  ঘোড়াগুলো। শক্তি এবং ক্ষিপ্রতার উপর ঘোড়াগুলোর এমন নাম দেওয়া হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী গোপীনাথের মেলায় উঠেছে এসব ঘোড়া। গত ৯ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এ মেলা চলবে ২১ মার্চ পর্যন্ত। তবে ১৪ মার্চের পর এই মেলার সঙ্গে যোগ হবে কাঠ, প্রসাধনী, মসল্লা, মিষ্টান্নসহ নানা তৈজসপত্রের মেলা। এ সময় থাকবে বিনোদনের বিভিন্ন রাইডও। প্রসঙ্গত, ১৫২০ হতে ১৫৩০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সুলতান আলাউদ্দীন হুসেন শাহ পূর্ণ গোপীনাথপুর ও গোপালপুর মৌজার সব সম্পত্তি দেবোত্তর হিসেবে দান করেন। এরপর পূর্ণ গোপীনাপুর মন্দির নির্মিত হয়। এই মন্দিরকে ঘিরে প্রতিবছর দোল পূর্ণিমাতে বসে ১৫ দিনের মেলা। প্রায় সাড়ে ৪০০ বছর ধরে এ মেলা চলে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেলা উপলক্ষে এলাকায় আনন্দ উৎসবের পাশাপাশি ঘোড়ার মেলা এবং ঘোড় দৌড় দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করছেন প্রতিদিন। ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা ছাড়াও এখানে বিক্রি হচ্ছে ঘোড়া। রকম, জাত, উচ্চতা এবং ক্ষিপ্রতার উপর ভিত্তি করে প্রতিটি ঘোড়ার দাম চাওয়া হচ্ছে ১০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত। প্রতিদিন বিক্রিও হচ্ছে কমবেশি। মেলায় রাজশাহী, বগুড়া, গাইবান্ধার চরাঞ্চল, নওগাঁসহ উত্তরাঞ্চল  জেলাসহ সারা দেশ থেকে কমবেশি ঘোড়া এসেছে মেলায়। এছাড়াও মেলায় বসেছে খেলনা, মুড়ি, মুড়কির দোকান। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী নাগরদোলা নজর কেড়েছে দর্শনার্থীদের।

আগে এই মেলায় যাত্রাপালা, ছায়াবাজি, পুতুল নাচ থাকলেও এখনো এসব দল এসে পৌঁছায়নি। মেলা কমিটির সভাপতি ও গোপীনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ জোয়ারদার জানান, এই মেলাতে ঘোড়া কেনাবেচার আয়োজনটিই মূল বিষয়। এবার মেলায় প্রায় ৪ হাজারের মতো ঘোড়া এসেছে। বেচাকেনাও হচ্ছে বেশ ভালো।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর