শিরোনাম
শুক্রবার, ১৩ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
পর্যবেক্ষণে ইসি

ভোটে করোনার প্রভাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনার মধ্যে চলতি মাসে ঢাকা-১০ আসন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ বেশ কয়েকটি নির্বাচন অনুষ্ঠান সামনে রেখে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুসরণ করেই প্রার্থীরা তাদের প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, এখন আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। চলাচল, যাতায়াত, অফিস কার্যক্রম এখনো স্বাভাবিক রয়েছে। নতুন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে তখন কমিশন এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারে।

পূর্বঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২১ মার্চ ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন হবে এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন, বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচন হবে ২৯ মার্চ। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা গত বুধবার জানান, চট্টগ্রামের ভোটের প্রচারের ক্ষেত্রে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন কমিশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, বৈঠক ডাকার বিষয় নেই। এখনো তেমন পরিস্থিতি হয়নি। স্বাস্থ্যবিধি সবাইকে মানতে হবে। পরিস্থিতি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে আগামীকাল ১৪ মার্চ চট্টগ্রাম সিটিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। ১৬ মার্চ ঢাকা-১০ আসনসহ অন্য উপনির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে বৈঠক হবে ঢাকায়। ঢাকা ও চট্টগ্রামে ভোট হবে ইভিএমে। ইভিএমে ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়ায় সতর্কতামূলক সব ধরনের ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে কমিশনার রফিকুল বলেন, এখন ভোটার উপস্থিতির বিষয়টি তো আগাম বলার বিষয় নয়। দেখা যাক, কী হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ থাকলে তাও আমরা অনুসরণ করব। প্রতিটি কেন্দ্রে আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া ও ইভিএমে ভোট নেওয়ার প্রক্রিয়ায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থাকে। জীবাণুনাশক বিষয়গুলোও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর