শুক্রবার, ১৩ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
শতভাগ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচি

মুজিববর্ষে বিদ্যুৎ পৌঁছবে সব ঘরে

জিন্নাতুন নূর

মুজিববর্ষে বিদ্যুৎ পৌঁছবে সব ঘরে

বাংলাদেশের সব ঘরে মুজিববর্ষেই বিদ্যুতের আলো পৌঁছে যাবে। বিদ্যুৎ বিভাগের পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রিড আছে এমন উপজেলায় চলতি বছরের জুনের মধ্যে আর অফগ্রিড এলাকায় ডিসেম্বরে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ শেষ হবে। প্রত্যন্ত পাহাড়ি, হাওর এবং চরাঞ্চলসহ দুর্গম যেসব এলাকায় বিদ্যুতের গ্রিড লাইন পৌঁছেনি সেখানে সোলার প্যানেল ও সাবমেরিন ক্যাবলসহ বিকল্প মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সারা দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। মুুজিববর্ষে বিদ্যুৎ বিভাগের এটিই হবে সবচেয়ে বড় উপহার। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার ২০১২ সালে শতভাগ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় এখন পর্যন্ত দেশের ৪৬১টি উপজেলার মধ্যে ৪১০টি শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। আর মাত্র ৫১টি উপজেলায় বিদ্যুৎ পৌঁছালে দেশের সব উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে। আগামী জুনের মধ্যে এ উপজেলাগুলো শতভাগ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতায় আসার কথা। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, গ্রিড আছে এমন উপজেলায় আগামী জুনের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ সম্পন্ন হবে। আর অফগ্রিড এলাকাগুলোকে ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ ঘোষণা দিয়েছে, মুজিববর্ষের মধ্যেই পুরো দেশ শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে। প্রতি বছর ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহটি ‘বিদ্যুৎ সপ্তাহ’ হিসেবে পালন করা হয়। এবার সেই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে অফগ্রিড এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দেশের চারটি বিতরণ কোম্পানিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, বিদুৎ উন্নয়ন বোর্ড, নর্দার্ন ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি এবং ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ কোম্পানিগুলো সোলার হোম সিস্টেম, সোলার মিনি গ্রিড, সাবমেরিন ক্যাবল এবং ওভারহেড লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজটি বাস্তবায়ন করবে।

এক দশকে বিদ্যুৎ খাতের অর্জন : আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত এক দশকে বিদ্যুৎ খাতের অর্জন ইতিবাচক। বর্তমানে সারা দেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৭টি। ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি মিলিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২২ হাজার ৭৮৭ মেগাওয়াট। বর্তমানে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। আর বিদ্যুতের সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৯৬ শতাংশ। মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে ৫১০ কিলোওয়াট ঘণ্টা। বিদ্যুৎ গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৬৪ লাখ। বিদ্যুতের সিস্টেম লস ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। নতুন প্রায় ৪০ লাখ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আরও ১৫ হাজার ১৫১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫০টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন আছে এবং ১৯ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরও ১৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর