বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকটকারীদের ধরতে বিশেষ অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কোনো ব্যবসায়ী বা মিলার যদি করোনাভাইরাসকে পুঁজি করে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার ও খাদ্য মন্ত্রণালয় চুপচাপ বসে থাকবে না। চালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। ভোক্তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। গতকাল সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চালের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় খাদ্যসচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, বর্তমানে ১৭ লাখ ৩৯ হাজার ৪৯৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে। এর মধ্যে তিন লাখ ১৯ হাজার টন গম। এর বাইরে পাইপলাইনে রয়েছে আরও দুই লাখ মেট্রিক টন গম। আগামী এক দেড় মাসের মধ্যে বোরো সংগ্রহ শুরু হবে। সুতরাং চাল-গম নিয়ে ভোক্তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বাড়তি পুঁজি করতে চাইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে ভোক্তারা একসঙ্গে কতটুকু খাদ্যশস্য কিনতে পারবেন তা নির্ধারণ করে দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। সিলিং নির্ধারণ করে দিতে চাই না। কারণ মানুষ মনে করবে না জানি কি আছে! খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারী আকারে দেখা দিয়েছে, বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বই আক্রান্ত। সাধন চন্দ্র মজুমদার জানান, ওএমএস-এর চাল বিতরণের জন্য ইতিমধ্যে ডিলারদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। সরকারি মজুদের চেয়ে আট থেকে ১০ গুণ বেশি ধান-চালের মজুদ বেসরকারি পর্যায়ে রয়েছে। প্রকৃত ব্যবসায়ী ও মিলারদের উচিত মানবতার প্রশ্নে আল্লাহকে হাজির-নাজির রেখে মানুষের আরও সেবা দেওয়া। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ভোক্তাদের বলতে চাই উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কোনো ব্যবসায়ী বা মিলার যদি উদ্বৃত্ত ব্যবসার চেষ্টা চালায় কোনোক্রমেই ছাড় দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, চালের ঘাটতি নেই, অযথা এক মাসের জায়গায় তিন মাসের ক্রয় করার কোনো প্রয়োজন নেই, এটা আমরা নির্দ্বিধায় বলছি। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আল্লাহকে একটু ভয় করেন, মানুষকে ভালোবাসেন, মানুষকে সেবা দেন, দেশের প্রতি একটু আনুগত্য স্বীকার করেন, দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলেন এটাই আমাদের মেসেজ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর