পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেছেন, আন্তর্জাতিক ক্রেতারা সবাই অর্ডার বাতিল করছেন। তারা দেখাচ্ছেন, ব্যবসার সঙ্গে মানবিকতার কোনো সম্পর্ক নেই। যেসব ক্রেতা কমপ্লায়েন্স নিয়ে কথা বলেন, তারাই অর্ডার বাতিল করছেন। তারা মানবিক আচরণ করছেন না। কিছু ক্রেতারা দায়িত্বহীন আচরণ করছেন। তবুও আমরা ঢাকা শহরের সাধারণ মানুষদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কাজ করছি। সবার আগে আমাদের কাছে দেশ ও মানুষ। আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন ড. রুবানা হক। তিনি বলেন, ক্রেতাদের কাছে বার বার অনুরোধ করছি। তারা কোনো কথাই শুনছেন না। তারা তাদের স্বার্থই দেখছেন। কিন্তু আমাদের মালিকরা পথে বসে যাচ্ছেন, তাদের অনুনয়-বিনয় করে বলেছি, অন্তত আগামী জুলাই মাসের আগে অর্ডার বাতিল করবেন না। তারা তা শুনছেন না। তারপর বলছি, ঠিক আছে, পণ্য আমাদের কাছে থাকুক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নেবেন। সে কথাও তারা মানছেন না। ক্রেতারা অর্ডার বাতিল করায় মালিকরা এখন চরম অসহায়বোধ করছেন। এমন পরিস্থিতির পরেও মালিকরা নিজ নিজ কারখানায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শ্রমিক ও কর্মচারীদের নিরাপদ এবং সুরক্ষার বিষয়টিতে জোর দেওয়া হয়েছে। পোশাকশিল্পের শ্রমিক ভাইবোনদের সুরক্ষা ও তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিজিএমইএ নিজস্ব উদ্যোগে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না, সে বিষয়েও একটি নির্দেশিকা তৈরি করে কারখানাগুলোতে পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। অঞ্চলভিত্তিক চারটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিজিএমইএ উত্তরা অফিসে একটি হটলাইন চালু করা হয়েছে।