রবিবার, ২২ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

সাংবাদিক কাজলকে অনুসরণ করা হচ্ছিল

-অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিখোঁজ সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। গতকাল সংস্থাটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়। সংস্থাটি একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে। তাতে দেখা যায়, নিখোঁজের আগে সাংবাদিক কাজলকে সর্বশেষ রাজধানী ঢাকার হাতিরপুল এলাকায় তার অফিসের সামনে দেখা গিয়েছিল। এ সময় সেখানে  অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে দেখা গেছে। অ্যামনেস্টির দক্ষিণ এশিয়া ক্যাম্পেইনার সাদ হাম্মাদি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের সন্দেহজনক আচরণ স্পষ্টতই প্রমাণ করে কাজলের বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্ত শুরুর মাত্র এক দিন পরই তাকে অনুসরণ করা হচ্ছিল। ওই দিনের পর থেকেই আর তার দেখা মেলেনি এবং তার ভাগ্যে কী ঘটেছে বা কোথায় আছেন কিছুই জানা যায়নি। ১১ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন সাংবাদিক কাজল। গত ১০ মার্চ বিকাল ৪টা ১৪ মিনিটে মোটরবাইকে দৈনিক ‘পক্ষকাল’-এর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজল হাতিরপুলে মেহের টাওয়ারে তার অফিসে পৌঁছান। এরপর তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগের আগ পর্যন্ত বাইকটির আশপাশে বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। বিকাল ৫টা ৫৯ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটের মধ্যে তিন ব্যক্তি আলাদাভাবে মোটরবাইকটির কাছে যায় এবং অযাচিত হস্তক্ষেপ করে। এরপর ৬টা ১৯ মিনিটে কাজলকে অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে অফিস থেকে বের হয়ে নিজের বাইকের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে দেখা যায়। পরে তিনি ফিরে আসেন এবং সন্ধ্যা ৬টা ৫১ মিনিটে একা বাইকে চড়ে চলে যান। সে সময় তাকে সর্বশেষ দেখা যায়। কাজল কোথায়, কী অবস্থায় আছেন তা শিগগির বের করতে এবং যদি রাষ্ট্রীয় হেফাজতে রাখা হয়ে থাকে তাহলে দেরি না করে তাকে মুক্তি দিতে কর্তৃপক্ষের কাছে অ্যামনেস্টির সাদ হাম্মাদি আহ্বান জানান। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত বছর মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ অন্তত ৩৪ ব্যক্তির গুম হওয়ার অভিযোগ নথিবদ্ধ করেছে। এর মধ্যে পরবর্তী সময়ে আটজনের লাশ পাওয়া গেছে, ১৭ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে এবং বাকি নয়জনের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানা যায়নি। নিখোঁজ হওয়ার আগের দিন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করে। ফেসবুকে ‘ভুল, আক্রমণাত্মক ও অবমাননাকর’ বক্তব্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।

সর্বশেষ খবর