রবিবার, ২২ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

মালচিং পেপার ব্যবহারে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি

সাইফউদ্দীন আহমেদ লেনিন, কিশোরগঞ্জ

মালচিং পেপার ব্যবহারে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি

কৃষিতে মালচিং পেপার ব্যবহারে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি উৎপাদন খরচ কমছে। ফলে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় চাষিরা ক্রমেই মালচিং  পেপার ব্যবহারের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন। পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আংগিয়াদী ব্লকের কৃষকরা মালচিং পেপার ব্যবহার করে শসা, তরমুজ, টমেটো, রক মেলন (সাম্মাম) ফসলের আবাদ করছেন। আদিত্যপাশা গ্রামের চাষি জাকির হোসেন বলেন, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হামিমুল হক সোহাগের পরামর্শে শসার জমিতে মালচিং ব্যবহার করি। ভালো ফলন দেখা যাচ্ছে। এই শসা আসন্ন রমজান মাসে বাজারজাত করা হবে। গত মৌসুমে মালচিং পেপার ব্যবহার করায় উৎপাদন খরচ কম এবং ফলন ভালো হয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হামিমুল হক সোহাগ জানান, এনএটিপি-২ প্রকল্পের আওতায় ইন্দোনেশিয়ায় প্রশিক্ষণ ট্যুরে গিয়ে মালচিং পেপার ব্যবহার দেখে উদ্বুদ্ধ হই। সেটাই এলাকায় সম্প্রসারণের চেষ্টা করছি। অনেক কৃষক উচ্চমূল্যের ফসল আবাদে মালচিং পেপার ব্যবহার করছেন। এটি ব্যবহারের ফলে মাটির রসের বাষ্পায়ন প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে মাটির উপরিতল থেকে যে পরিমাণ জল বাষ্পীভূত হয়, তা ওই প্লাস্টিকের আবরণে বাধা পেয়ে ঘণীভূত হয়। যা বিন্দু বিন্দু জলকণায় পরিণত হয়ে আবার মাটিতেই ফিরে আসে। ফলে সেচ খরচ কম হয়। সেচ বা বৃষ্টির পানি শুধুমাত্র প্লাস্টিকের ছিদ্র দিয়ে শিকড়ের কাছের অংশের মাটিতে প্রবেশ করে। এর মাধ্যমে পানির যথাযথ ব্যবহার ও সংরক্ষণ সম্ভব হয়। তাছাড়া প্লাস্টিক সিট দিয়ে মাটি ঢেকে রাখায় মাটির ঢাকা অংশের উষ্ণতা রাতে বৃদ্ধি পায় এবং শীতকালেও দ্রুত চারা গজায়। প্লাস্টিক মালচিংয়ে যেহেতু ছিদ্র দিয়ে গাছ বেরিয়ে আসে, ফলে মাঝের ঢাকা অংশ দিয়ে আগাছা বের হতে পারে না। এই পদ্ধতিতে পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং সারের পরিমাণও কম লাগে।

সর্বশেষ খবর