সোমবার, ২৩ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

বাজার কারসাজির বিরুদ্ধে র‌্যাব ও ভোক্তা অধিকারের দিনভর অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস আতঙ্ককে পুঁজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বেশি দামে বিক্রি করছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ঢাকা জেলা প্রশাসন নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। গতকালও ঢাকা জেলা প্রশাসনের আটজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালান। এ ছাড়া র‌্যাব ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের (ডিএনসিআরপি) মোবাইল কোর্ট বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালায়। অভিযানে ৪৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা জরিমানা এবং ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এ ছাড়া হোম কোয়ারেন্টাইন না মানায় দুজনকে জরিমানা করা হয়।

র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানান, গতকাল পুরান ঢাকার শ্যামবাজারে অভিযান চালিয়ে অতিরিক্ত মূল্যে পিয়াজ, রসুন, আদা ও আলু বিক্রি করায় ২৩টি আড়তকে ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। ডিএনসিআরপির সহকারী পরিচালক মো, আবদুল জব্বার জানান, গতকাল উত্তরার বেগম জহুরা মার্কেটে অভিযান চালিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করায় ১২টি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে সিদ্ধেশ্বরী, মগবাজার, শান্তিনগর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় কোনো কোচিং সেন্টার এবং কমিউনিটি সেন্টার খোলা পাওয়া যায়নি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজ পুলকের নেতৃত্বে সাভারের সাধাপুর মাঝিপাড়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় দুবাইফেরত প্রবাসী মো. মামুন কায়সারকে হোম কোয়ারেন্টাইন যথাযথভাবে পালন না করায় দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা রহমানের নেতৃত্বে লালবাগ এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় সব কমিউনিটি সেন্টার, কোচিং সেন্টার বন্ধ পাওয়া যায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলমের নেতৃত্বে ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় সব কনভেনশন সেন্টার, পার্টি সেন্টার এবং কোচিং সেন্টার বন্ধ পাওয়া যায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারেফ হোসাইনের নেতৃত্বে পল্টন, বিজয়নগর এবং কাকরাইলে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিভিন্ন ফার্মেসিতে মাস্কসহ হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম স্বাভাবিক ছিল। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জ্যোতি বিকাশ চন্দ্রের নেতৃত্বে দোহার লস্করকান্দা গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সিঙ্গাপুরফেরত প্রবাসী আবদুস সালামকে হোম কোয়ারেন্টাইন যথাযথভাবে পালন না করায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার বাড়িতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়াসহ সাতজন প্রবাসীর বাড়িতে লাল পতাকা টানানো হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোরাদ আলীর নেতৃত্বে মিরপুর-১ ও পল্লবীতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় কমিউনিটি সেন্টার, কনভেনশন সেন্টার, কোচিং সেন্টার বন্ধ পাওয়া যায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিবুল ইসলামের নেতৃত্বে নবাবগঞ্জ উপজেলায় বাজার মনিটরিং করা হয়। এ সময় পিয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০-১৫ টাকা কমে যায়। এ বিষয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী নাহিদ রসুল জানান, মোবাইল কোর্টের অভিযান অব্যাহত থাকায় বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার মূল্য নিয়ন্ত্রণে আমাদের এ অভিযান চলবে।

সর্বশেষ খবর