সোমবার, ২৩ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
স্বাস্থ্য পরামর্শ

করোনা জীবাণু ছড়ায় যেভাবে

প্রতিদিন ডেস্ক

করোনাভাইরাস খুবই দ্রুতগামী সংক্রমণ ভাইরাস। হাত না ধোয়া ও সংক্রমণিত হাত দিয়ে নাক, মুখ ও চোখ স্পর্শ করলে এই ভাইরাস দ্রুত গলার ভিতরে ছড়িয়ে পড়ে। তাই করোনার সংক্রমণ হতে রক্ষা পেতে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। মনে রাখতে হবে, নোংরা হাত একবার মুখের সংস্পর্শে বিভিন্ন রোগ ছড়ায়। তাই বারবার হাত ছোঁয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। নোংরা হাতের আঙ্গুলে অসংখ্য জীবাণু সুপ্ত অবস্থায় থাকে। এতে শরীরের ভিতরে ছড়িয়ে পড়ার জন্য মাত্র একবারই নাক, চোখ বা মুখে আঙ্গুলের স্পর্শ যথেষ্ট।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার সংক্রমক রোগ বিশেষজ্ঞ ডন মুনি বেকারের মতে, করোনাভাইরাস শ্বাসতন্ত্রে সরাসরি আঘাত করে। ফলে শ্বাসতন্ত্রকে প্রভাবিত করে ও ভাইরাস শ্লেষ্মার মাধ্যমে (পিচ্ছিল নিঃসরণ বা মিউকাস) শরীরে প্রবেশ করে। এসব শ্লেষ্মা থাকে নাক-মুখের গহ্বর ও ঠোঁটে। তাই অপরিষ্কার হাত এ ধরনের সংক্রমণের জন্য যথেষ্ট। করোনাভাইরাসের এই সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) একটি বিষয় মানুষের সামনে তুলে ধরেছে। তা হলো কারণে বা কারণ ছাড়াই মুখে হাত দেওয়ার অভ্যাস। আর এই অভ্যাসে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনাভাইরাস। একজন মানুষ দিনে কতবার মুখে হাত দেয় এ বিষয়ে একটি জরিপ করেছে সিডনি ইউনিভার্সিটি। ২০১৫ সালে জরিপটি করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়টি ২৬ জন হবু চিকিৎসকের ওপর একটি ভিডিও জরিপ চালায়। এতে দেখা যায়, একজন মানুষ প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ২৩ বার তার মুখে হাত দেয়। এখানে মুখ বলতে ব্যক্তির ঠোঁট, জিহ্বা, নাক, কপাল, গাল, চোখ ও থুতনিকে বোঝানো হয়েছে। সুতরাং ভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সবাইকে মুখে হাত দেওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। তবে একেবারে মুখে হাত না দিয়ে তো চলা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে চিকিৎসক ডন মুনি বেকার একটি টিপস দিয়েছেন। আর তা হলো টিস্যু বা রুমাল ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তোলা। তাই হাঁচি বা কাশির ক্ষেত্রে টিস্যু ব্যবহার করুন। এই অভ্যাস ব্যক্তি ও তার কাছের মানুষকে সংক্রমণ এড়াতে সহায়তা করবে।

হাত পরিষ্কার করতে হবে যেভাবে : করোনা প্রতিরোধে অবশ্যই হাত পরিষ্কারের পদ্ধতি জানতে হবে। এই নিয়ম নিজে মেনে চলতে হবে ও আপনার চারপাশের মানুষকে জানাতে হবে। যেমন ১. সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। ২. যদি পানি না থাকে তবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। এই স্যানিটাইজারে অ্যালকোহলের পরিমাণ কমপক্ষে ৬০ শতাংশ থাকতে হবে। ৩. হ্যান্ড স্যানিটাইজার জীবাণুমুক্ত করলেও ময়লামুক্ত করতে পারে না। এ জন্য হাত পরিষ্কারের ক্ষেত্রে সাবান-পানিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ৪. টয়লেট ব্যবহারের পর ও হাঁচি-কাশি হাতের স্পর্শে এলে হাত পরিষ্কারের বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর