বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

রক্তের নমুনাই চিনিয়ে দিল খুনিকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিতে লেগে থাকা রক্তের নমুনাই দেখিয়ে দিল খুনিকে। শেরপুরের নকলা উপজেলার একটি হত্যা মামলায় এমনি রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি থেকে নেওয়া রক্তের নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে আসইম শনাক্ত করেছে সংস্থাটির ডিএনএ ল্যাবরেটরি ইউনিট। এ প্রক্রিয়ায় আবদুল বারেক হত্যায় জড়িত আহসানুল কবীরকে শনাক্ত করা হয়।

গতকাল সিআইডি-সূত্র জানান, গত ১১ ফেব্রুয়ারি নকলার রুনীগাঁও গ্রামের সোহেল মিয়া নামে এক ব্যক্তির ছাগল আহসানুল কবীরের জমিতে ঢুকে ধানের চারা নষ্ট করে। একে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবেশী আবদুল বারেক তাদের ঝগড়া মীমাংসার চেষ্টা করেন। মীমাংসার চেষ্টা করায় আহসানুল কবীর ও তার পরিবারের সদস্যরা আবদুল বারেকের ওপর চরম ক্ষিপ্ত হন। পরদিন বারেক তার জমিতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হলে পথে আহসানুল কবীরের সঙ্গে দেখা হয়। এ সময় আহসানুল কবীর ও তার সহযোগীরা ধারালো ছুরি দিয়ে বারেককে আঘাত করেন। বারেকের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহসানুল কবীর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নকলা থানায় হত্যা মামলা করেন বারেকের ছেলে শামীম। ঘটনা অনুসন্ধানে গিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আহসানুল কবীরের বাড়ি থেকে রক্তমাখা ছুরি জব্দ করেন। সেখান থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিআইডিতে পাঠানো হয়। পরে সিআইডির ডিএনএ পরীক্ষায় দেখা যায়, আহসানুল কবীরের ছুরিতে লেগে থাকা রক্ত ও নিহত বারেকের রক্তের ডিএনএ মিলে যায়। এতে তদন্তসংশ্লিষ্টরা প্রমাণ পান জব্দ ছুরি দিয়েই বারেককে হত্যা করা হয়েছে। আর আহসানুল কবীরই তাকে হত্যা করেছেন।

সর্বশেষ খবর