বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

ভ্যাকসিন তৈরির দাবি জাপানিদের, জিনের গবেষণা সিঙ্গাপুরের

প্রতিদিন ডেস্ক

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির দাবি করেছে জাপান, অন্যদিকে সিঙ্গাপুরের বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা জিনের পরিবর্তন ধরতে পারার এমন এক উপায় উদ্ভাবন করেছেন। বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাসে প্রাণহানি রুখতে একটি ভ্যাকসিন তৈরির দাবি করেছে একটি জাপানি কোম্পানি, যা এখন প্রাণীর ওপর পরীক্ষা করবে তারা। বিডিনিউজ ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপানের অন্যতম ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি অ্যানজেসের যৌথ উদ্যেগে এ টিকা তৈরি হয়েছে বলে মঙ্গলবার অ্যানজেসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। ওসাকার ওই কোম্পানি জানিয়েছে, তাদের ডিএনএ ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শেষ হয়েছে এবং তা শিগগিরই প্রাণীর ওপর পরীক্ষা করা শুরু হবে। কভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাসটি আরএনএ (রাইবো নিউক্লিক এসিড) ভাইরাস। তবে অ্যানজেস বলছে, তাদের তৈরি করা ডিএনএভিত্তিক ভ্যাকসিন করোনাভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এ ছাড়া প্রোটিনভিত্তিক ভ্যাকসিনের চেয়ে এটা দ্রুত উৎপাদন করা সম্ভব। জাপানের প্রভাবশালী ওষুধ কোম্পানি তাকারা এ ভ্যাকসিন বাজারজাত করার দায়িত্ব নিয়েছে

এদিকে সিঙ্গাপুরের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তারা জিনের পরিবর্তন ধরতে পারার এমন এক উপায় উদ্ভাবন করেছেন, যার মাধ্যমে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের টিকার পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ দ্রুততর হবে। দেশটির ডিউক-এনইউএস মেডিকেল স্কুলের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তাদের কৌশলে সম্ভাব্য টিকাগুলোর কার্যকারিতা মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই নিশ্চিত হওয়া যাবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় স্কুলটির অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জৈবপ্রকৌশল প্রতিষ্ঠান আর্কটারাস থেরাপেটিকসই সম্ভাব্য এ টিকা সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

মানবদেহে সম্ভাব্য টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষায় সাধারণত কয়েক মাস লেগে যায়। সে তুলনায় ডিউক-এনইউএস স্কুলের উপায়ে কম সময় লাগবে, দাবি বিজ্ঞানীদের। ওই স্কুলের উদীয়মান সংক্রামক রোগ প্রকল্পের উপ-পরিচালক ওই এং ইয়ং বলেন, ‘কোন কোন জিন সচল, কোনটি নয়, জিনগুলোর পরিবর্তনের উপায় জানতে পারবেন আপনি। জিনের পরিবর্তন দ্রুত ধরতে পারলে তা মানবদেহে টিকার প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে এর কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বের করতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে।

এখন পর্যন্ত নভেল করোনাভাইরাসের টিকা কিংবা এর চিকিৎসার কার্যকর কোনো ওষুধ বের হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসটির প্রতিষেধক পেতে এক বছর বা তার চেয়েও বেশি সময় লাগতে পারে। তবে ওই এং ইয়ং বলছেন, তারা  এক সপ্তাহের মধ্যে ইঁদুরের ওপর সম্ভাব্য টিকার পরীক্ষা শুরুর পরিকল্পনা করছেন; মানবদেহে এ পরীক্ষা হবে চলতি বছরের দ্বিতীয়ভাগে।

সর্বশেষ খবর