রবিবার, ২৯ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

দেশীয় শিল্প খাত নিয়ে চিন্তার সময় এসেছে

-সৈয়দ নাসিম মনজুর

দেশীয় শিল্প খাত নিয়ে চিন্তার সময় এসেছে

করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় দেশীয় শিল্প-কারখানা নিয়ে চিন্তার সময় এসেছে বলে মনে করেন এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মনজুর। দেশের স্বনামখ্যাত এপেক্স গ্রুপের অন্যতম এই কর্ণধার বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে যাওয়ায়, পণ্যসামগ্রীর বিক্রি নেই। ফলে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে নিজেদের করণীয় এখনি ঠিক করতে হবে। সরকার একা এই সংকট মোকাবিলা করতে পারবে না। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন দেশের প্রাচীণ বাণিজ্য সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ- এমসিসিআইর সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাসিম মনজুর। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেলে সহায়তা দিতে পারলে ভালো হবে। এক্ষেত্রে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা লাগবে। ব্যবসা- প্রতিষ্ঠানের সব খাতে ঋণ সুবিধা লাগবে।

এই ব্যবসায়ী নেতার মতে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা বা এসএমইদের সঙ্গে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা-এনজিওগুলো কাজ করতে পারে। আবার ছোট টাস্কফোর্স গঠন করা যেতে পারে। দেশের শীর্ষ অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকারদের নিয়ে এই টাস্কফোর্স গঠন করা যেতে পারে।

প্রক্রিয়াজাত চামড়াশিল্পের অন্যতম এই শীর্ষ রপ্তানিকারক বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি চাকরি হারাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ। তারা চাকরি হারালে আমাদের পণ্য কিনবে কে। যার প্রভাব বাংলাদেশি রপ্তানি খাতেও পড়তে পারে।

তার মতে, এখন হিমায়িত খাতে বড় সমস্যা হবে। ব্যবসায়ীদের হাতে টাকা না থাকলে ক্ষতির শিকার হবেন মাছচাষিরা। আবার কৃষকের হাতে টাকা না থাকলে, তারা পণ্য কিনতে পারবেন না। ফলে পুরো অর্থনীতিতে বড় আঘাত আসবে।

সৈয়দ নাসিম মনজুর বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা সুবিধা দেশের সব রপ্তানি খাত পাবে। কারণ শুধু পোশাক খাত নয়, সব রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের আন্তর্জাতিক ক্রেতারা তাদের ক্রয়াদেশ বাতিল করেছেন। চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি খাতে এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ৬০০ কোটি টাকার অর্ডার বাতিল হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান মেসি আমাদের জানিয়েছে গত ২৫ মার্চ থেকে আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত তাদের সব অর্ডার বাতিলের কথা। তারা কিন্তু স্থগিতও করেনি। তারা অর্ডার বাতিল করেছেন। এটা আমাদের জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়াবে। রপ্তানিতে বড় সমস্যা হবে।

সর্বশেষ খবর