শিরোনাম
রবিবার, ২৯ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

সারা দেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে ভাবতে হবে

-আবুল কাশেম খান

সারা দেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে ভাবতে হবে

করোনাভাইরাসে সৃষ্ট সংকট উত্তোরণে সারা দেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে ভাবতে সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন দেশের প্রাচীন শিল্প উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান এ কে খান অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক আবুল কাশেম খান। তিনি বলেন, এই সংকট দীর্ঘমেয়াদি হলে আমাদের অর্থনীতির বড় ক্ষতি হবে। অনেক ব্যবসায়ী বিপদে পড়বেন। তাদের ঋণ ও কর সুবিধা দিতে হবে।

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন দেশের অন্যতম বাণিজ্য সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ- ডিসিসিআইর সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম খান। দেশে ৭৫ বছরের পুরনো ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান এ কে খান অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের এই পরিচালক বলেন, মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে সহায়তা দিতে হবে। যুক্তরাজ্য করোনাভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ সহায়তা দিচ্ছে। বাংলাদেশেও মানুষ যেন চাকরি না হারায়, সেই উদ্যোগ সরকারকে নিতে হবে।

ডিসিসিআই সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিজনেস ইনিশিয়াটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট- বিল্ডের এই চেয়ারম্যান বলেন, সরকার ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যাংকিং সুবিধাসহ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পকে যে সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তা সময় উপযোগী। এর সঙ্গে সারা দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা বা এসএমই-দের প্রতি সহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। বিভিন্ন দেশ কিছু প্যাকেজ সুবিধা দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বা তাদের মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপি’র ১০ শতাংশ অর্থ সহায়তা দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের আগামী বাজেটেও বড় অঙ্কের তহবিল গঠন করতে হবে। কমপক্ষে ৫০ হাজার কোটি টাকার একটি প্যাকেজ সুবিধা দরকার হবে। এই পরিস্থিতি দীর্ঘমেয়াদি হলে বাংলাদেশের বিকাশমান অর্থনীতির বড় ক্ষতি হবে। এসএমইরা বড় অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাবে। তাই এখনি সরকারকে সারা দেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে ভাবতে হবে। কারণ অনেক ব্যবসায়ী বিপদে পড়বেন। তাদের জন্য সরকারকে ভালো সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। আবুল কাশেম খান বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের কর সুবিধা অব্যাহত রাখতে হবে। এখন যেন করের চাপ কোনো ব্যবসায়ী ও তাদের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে না পড়ে। আগামী ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে কর ছাড় দিতে হবে।

সর্বশেষ খবর