মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

কাশির ওষুধ দিয়ে করোনার চিকিৎসা প্রতারণা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে পৃথিবীর বাঘা বাঘা চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের রীতিমতো গলদঘর্ম অবস্থা। বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করা এই ভাইরাস প্রতিরোধের কোনো ভ্যাকসিন এখনো আবিষ্কার হয়নি। ঠিক তখনই বহুল প্রতীক্ষিত করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক ‘আবিষ্কার’ করলেন চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার জালিয়াপাড়া এলাকার মনসুর আলী নামে এক ব্যক্তি। জালিয়াপাড়া এলাকাটি চৌধুরীহাটের ইন্টার্ন শপিং সেন্টারের পাশে অবস্থিত। রীতিমতো ফেসবুকে এই ওষুধ আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে চলছে বিক্রি। কার্যত এটি করোনা প্রতিষেধক নয়, কাশির সিরাপ। গতকাল দুপুরে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমীন অভিযান পরিচালনা করে মনসুর আলীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় মনসুর আলী ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে নিজের অপরাধের কথা স্বীকারও করেন। জানা যায়, ১৯ মার্চ ফেসবুকে করোনা মুক্তির ভেষজ ওষুধ বিক্রির একটি পোস্ট দেন মনসুর আলী। সেখানে যোগাযোগের নম্বর দিয়ে নিজের ওষুধ আবিষ্কারের প্রচারণাও চালাচ্ছিলেন তিনি। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে কৌতূহল শুরু হয়। গতকাল দুপুরে পোস্টদাতা মনসুর আলীকে ক্রেতা সেজে ফোন করেন ইউএনও। তখন তিনি বলেন, ‘করোনা থেকে মুক্তি পেতে তার ভেষজ ওষুধ খেতে হবে ১২০ দিন। প্রতি ফাইলের মূল্য ৩০০ টাকা করে।’ এরপর তাকে আটক করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘বিশ্বের বড় বড় দেশ যখন করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে গলদঘর্ম, তখন এক ব্যক্তি কাশির ভেষজ ওষুধকে করোনার ওষুধ বলে বিক্রি করছেন। এটি স্রেফ প্রতারণা। খবর পেয়ে গতকাল ছদ্মবেশে তার কাছ থেকে ওষুধ কিনতে যাই। তিনি ৩০০ টাকায় ১২০ দিন সেবনের পরামর্শ দিয়ে আমাকে দুই বোতল ওষুধ দেন। বোতলের লেবেল দেখে বুঝলাম এগুলো কাশির সিরাপ। পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি প্রতারণার কথা স্বীকার করেন। তাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।’

সর্বশেষ খবর