বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদফতরকে পিপিই ও মাস্ক সরবরাহ করল বসুন্ধরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদফতরকে পিপিই ও মাস্ক সরবরাহ করল বসুন্ধরা

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ঢাকা সেনানিবাসের ডিজিএমএস অফিসে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান গতকাল ডিজিএমএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. ফসিউর রহমানের কাছে পিপিই ও মাস্ক হস্তান্তর করেন। এ সময় বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান উপস্থিত ছিলেন। -বাংলাদেশ প্রতিদিন

করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদফতরকে পিপিই (পারসোন্যাল প্রোটেক্টিভ ইক্যুইপমেন্ট) ও মাস্ক সরবরাহ করল দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। গতকাল বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. ফসিউর রহমানের কাছে এক হাজার পিপিই ও ৫০ হাজার মাস্ক হস্তান্তর করেন। এ সময় বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান ও উপদেষ্টা মেজর জেনারেল মাহবুব হায়দার খান (অব.) উপস্থিত ছিলেন। অপরপক্ষে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট মেজর জেনারেল মো. এনায়েত উল্লাহ, সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদফতরের কনসালট্যান্ট ডেন্টাল সার্জন মেজর জেনারেল গোলাম মহীউদ্দীন চৌধুরী, কনসালট্যান্ট সার্জন জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান এবং কনসালট্যান্ট ফিজিশিয়ান মেজর জেনারেল মো. আজিজুল ইসলাম। 

পিপিই ও মাস্ক হস্তান্তরের সময় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রয়োজন হলে ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্র“তি দেন। প্রসঙ্গত, বসুন্ধরা গ্রুপ করোনাভাইরাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারকে সহায়তার অংশ হিসেবে পাঁচ হাজার শয্যার হাসপাতাল তৈরিতে সহযোগিতা করতে যাচ্ছে। 

গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান এ বিষয়ে একটি লিখিত প্রস্তাব হস্তান্তর করেন। এদিন তিনি প্রধানমন্ত্রীর করোনা মোকাবিলার তহবিলে ১০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেন। এ ছাড়া বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে রাজধানীর দুস্থ ও নিম্নআয়ের অনেক পরিবারকে খাদ্য সহায়তাও দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেওয়া বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের লিখিত প্রস্তাবে বলা হয়, রাজধানীর কুড়িলে বসুন্ধরার চারটি কনভেনশন সেন্টার ও একটি ট্রেড সেন্টারে হবে পাঁচ হাজার শয্যার হাসপাতাল। কনভেনশন সেন্টারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়টি ৩০ হাজার বর্গফুটের। বাকি তিনটি প্রতিটি ২০ হাজার বর্গফুটের। আর ট্রেড সেন্টারের আয়তন ১ লাখ ৫০ হাজার বর্গফুটের। বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারগুলো বিভিন্ন অবকাঠামো সমৃদ্ধ এবং রাজধানীর মধ্যবর্তী কুড়িল এলাকায় অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ও হাসপাতালে রূপান্তরের অবস্থায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেই প্রস্তাব সানন্দে গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে এবং সেই প্রস্তাবের ভিত্তিতে হাসপাতালের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং সেনাবাহিনীর ১২ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যে প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

সর্বশেষ খবর