শনিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

সবজির দাম সহনীয়, বাড়তি চাল ও ডালের দাম

বাজার দর

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসের কারণে ক্রেতার স্বল্পতা থাকলেও চাল-ডালের দাম কমেনি। এসব বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে। তবে নিত্যপণ্যের দাম কমেছে আগের তুলনায়। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনটিই দেখা গেছে। গত সপ্তাহে ২৮ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া খোলা আটার দাম বেড়ে হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। মাঝারি দানার মসুর ডাল গত সপ্তাহে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা বিক্রি হয়েছিল, তা এখন বেড়ে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারিতে ডাল ও আটার দাম বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে কমেছে সরবরাহ। বাড়তি দামে কেনার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে-বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। আর ছোট দানার মসুরের ডালের দাম বেড়ে হয়েছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।

করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পরপরই চালের দাম বেড়ে যায়। সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম নতুন করে বাড়েনি। প্রতিকেজি মিনিকেট ও নাজিরশাইল ৬০ থেকে ৬৮ টাকা, পাইজাম ও লতা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি এবং স্বর্ণা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পূর্বে মিনিকেট ও নাজিরশাইল ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা, পাইজাম ও লতা ৪২ থেকে ৪৮ টাকা এবং স্বর্ণা ৩২ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। ক্রেতারা বলছেন, সরকারের ভাষ্যমতে খাদ্যপণ্যের ঘাটতি নেই। কিন্তু বাজারে একের পর এক পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। আগে চালের দাম বেড়েছে। আর এখন ডালের দাম বাড়ছে। সরকারের উচিত  যারা পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। সবজির দাম নতুন করে বাড়েনি। তবে বাজারে নতুন আসা সজনার ডাটা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া অন্য সবজি সাধারণ  ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে। দাম কমেছে অনেক সবজির। বাজারে প্রতিকেজি করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পাকা টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ২০ থেকে ৪০ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছুটা দাম কমেছে কাঁচামরিচ ও পিয়াজের। প্রতি পোয়া কাঁচামরিচ এখন ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পিয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। আমদানি করা রসুন ১৭০ থেকে ১৮০ এবং দেশি রসুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, সবজির গাড়ি এখন অনেক কম আসছে। ভোক্তার স্বল্পতা থাকায় বাজারে ঘাটতি নেই। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে সবজির দাম এখন আরও অনেক কম হতো। দাম না পাওয়ায় কেউ কেউ সবজি তুলছেন না খেত থেকে। সবজির পাশাপাশি কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দামে। ১২০ এ উঠে যাওয়া ডিমের ডজন এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। আর ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা কেজিতে। মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকায়। তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, পাঙাশ ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, শিং ৩০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, শোল ৪০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা, পাবদা সাড়ে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল সাড়ে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা সাড়ে ৩০০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর