ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণে জাতির এ সংকটময় মুহূর্তে উলামা-মাশায়েখ, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সরকারি-বেসরকারি, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী, আমাদের মধ্যে ফারাক নেই, আমরা সবাই এক। তাই দল-মতের কথা বাদ দিয়ে মানুষের জীবন বাঁচাতে আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, করোনার থাবা থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি যেমন গুরুত্ব অনুরূপভাবে সামাজিক বৈষম্য দূর করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই সরকারের এবং বিত্তশালীদের উচিত এক কোটি দরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর ব্যবস্থা করা।
এই দুর্যোগের সময়, চিকিৎসকদের ভূমিকা সম্পর্কে মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে দেশবাসীর জন্য অবদান রাখার এক বিশাল সুযোগ এসেছে চিকিৎসকদের। তারা আর্তমানবতার সেবা করার জন্য এই পেশা বেছে নিয়েছেন। আমরা দেখছিও তাই, ডাক্তাররা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানবতার সেবা করে যাচ্ছেন। আমি মনে করি দেশে বহু অভিজ্ঞ, নিষ্ঠাবান, সাহসী এবং মানবদরদি চিকিৎসক রয়েছেন। তাঁরা জানেন, দেশের মাটি ও মানুষের জন্য অবদান রাখতে পারা গর্বের, গৌরবের এবং সত্যিকার অর্থে আনন্দের। কিন্তু খবর পাচ্ছি কিছু হাসপাতলে চিকিৎসক রোগী ফেলে পালিয়ে যাচ্ছেন। খবরটি যদি সত্যি হয়, তবে তা হবে অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের। এ ব্যাপারে সরকারকে কঠোর হতে হবে।সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, করোনায় সতর্কতা অবলম্বনে প্রয়োজনে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে। ব্যাপক হারে সেনাবাহিনী নিয়োগ করতে হবে। এ দুঃসময়ে গরিবের হকে ভাগ বসিয়ে যারা দুর্নীতির মাধ্যমে নিজেদের আখের গোছাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র একটা নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে হবে। ৫০ দিনের মাথায় আমরা লাশের সারি দেখতে পারব না, রাস্তাঘাটে লাশের মিছিল দেখার শক্তি আমাদের নেই।