বৃহস্পতিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

জরুরি লকডাউন ও প্রাইভেট হাসপাতালের সংযুক্তি

----- রাশেদ খান মেনন

জরুরি লকডাউন ও প্রাইভেট হাসপাতালের সংযুক্তি

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউন বলবৎ করতে কঠোরতা অবলম্বন এবং চিকিৎসায় প্রাইভেট হাসপাতালকে সংযুক্ত করার ওপর জোর দিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তার ভাবনা কী- জানতে চাওয়া হলে মহাজোটের শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বার বার বলে আসছে যত লোককে পারা যায় টেস্ট করান। আমিও বার বার তা-ই বলি। দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম এমন কি জার্মানিও বাধ্যতামূলক টেস্ট করিয়ে সফল হয়েছে। দেখবেন ইউরোপের মধ্যে জার্মানিতে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার অনেক কম। ভিয়েতনাম তো বাধ্যতামূলক সবার পরীক্ষা করিয়েছে। তাতে তারা সফল হয়েছে। তিনি বলেন, প্রথমদিকে তো টেস্ট খুব একটা হয়নি। এখনো যে খুব বেশি হচ্ছে তা নয়। সাত-আট শত টেস্ট হচ্ছে। এটি আরও বাড়াতে হবে। তিনি মনে করেন টেস্ট বাড়ানোর পাশাপাশি লকডাউনটা জরুরি। সরকার লকডাউন করলেও মানা হচ্ছে না। এটা মানা এখন খুবই জরুরি। লকডাউন মানতে বাধ্য করতে হবে, শক্তিপ্রয়োগ করতে হবে। মানুষকে ঘরের বাইরে বের হতে দেওয়াই যাবে না। রাশেদ খান মেনন বলেন, আরেকটি বিষয়টি হলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে চরম সমন্বয়হীনতা, দ্বন্দ্ব। এটা দূর করতে হবে। শক্তিশালী অবস্থান নিতে হবে। অনেক কিছুই হয়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানেন না। এতেই পরিষ্কার কতটা সমন্বয়হীনতা। তিনি বলেন, এই সংকট দূর করা প্রধানমন্ত্রীর একার দায়িত্ব নয়। এটা সবার দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী তার দায়িত্বটা যথাযথভাবে পালন করছেন। কিন্তু মনে হচ্ছে তার চারপাশের আমলারা সঠিক তথ্যচিত্র দিচ্ছেন না। এটা একটা বড় সমস্যা। রাশেদ খান মেনন বলেন, বলা হয়, আইসোলেশন সেন্টারগুলো তৈরি আছে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। বিল্ডিং ছাড়া আইসোলেশন বলতে যা বুঝায় তার কিছুই নেই। শুধু বিল্ডিং আছে। তিনি করেন, এই মুহূর্তে জরুরি হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে এখনই পার্টনারশিপে নিয়ে আসা। তারা থাকবে সরকারের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর