শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

কৃষিকে চাঙ্গা রাখাই এখন মূল চ্যালেঞ্জ

ড. মো. আবদুল মুঈদ

কৃষিকে চাঙ্গা রাখাই এখন মূল চ্যালেঞ্জ

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতি থমকে দাঁড়িয়েছে। যার প্রভাবে আামাদের দেশের অর্থনীতিতেও অবধারিতভাবে পড়ছে। আমাদের শিল্পের চাকাও বন্ধ হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতি কতদিন চলবে হয়তো আমরা কেউই জানি না। এই মুুহূর্তে সামনের দিনগুলোতে আমাদের অর্থনীতি সচল রাখা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষি খাতকে চাঙ্গা রাখাই আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন অব্যাহত রাখতে আমাদের কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে হবে প্রত্যেককেই। সরকার ইতিমধ্যেই নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বিশেষ করে ধান মাড়াইয়ের জন্য ভর্তুকি মূল্যে হার্ভেস্টিং মেশিন প্রদানের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, এখন আমাদের হাওর অঞ্চলে ধান কাটা শুরু হয়েছে। এ জন্য এই মৌসুমে হাওরে গিয়ে যেসব শ্রমিক কাজ করেন তাদের সরদারদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পাবনা, বগুড়া, রংপুর, কুড়িগ্রাম, জামালপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে যেমন শ্রমিক আসেন তাদের আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে একটা গ্রুপ কর্মস্থলে পৌঁছেও গেছেন। এক্ষেত্রে অন্য যারা আসতে চায় তাদের স্থানীয় সিভিল সার্জনের সার্টিফিকেট যেন দেওয়া হয় যে তারা সুস্থ। এবং পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলা হয়েছে পৃথক সনদ দিতে যেন রাস্তায় তারা কোনো রকম হয়রানির মুখে না পড়ে। কৃষি যন্ত্র কেনার জন্য প্রণোদনা ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যা দিয়ে ধান কাটার মেশিন কিনতে পারছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ২৭টা মেশিন হাওর অঞ্চলের কৃষকদের কাছে ভর্তুকির আওতায় চলে গেছে। আরেকটা হলো, আমি যেটা মনে করি। এখন তো রিকশাচালকরা বসে আছেন। অটোরিকশাচালক, সিএনজিচালকরাও বসে আছেন। তারাও এখন স্থানীয়ভাবে ধান কাটার কাজ করতে পারেন। আগামী মাসে সারা দেশে ধান কাটা শুরু হবে তখন তারা সেটা করতে পারেন। এতে কৃষক ও শ্রমিক উভয় লাভবান হবেন। এমনকি গার্মেন্ট শ্রমিকরাও চাইলে সেটা করতে পারবেন। এই মুহূর্তে আমি সরকারের কাছে বলতে চাই-এই যে ১০ টাকা করে চাল দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে যারা সক্ষম তাদের উদ্বুদ্ধ করানো দরকার ধান কাটার কাজের জন্য। অর্থাৎ সাহায্য বা ত্রাণের অপেক্ষায় বসে না থেকে কৃষি কাজের উৎসাহী করে তাদের কাজে লাগানো যেতে পারে ইচ্ছে করলেই। কৃষি ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই। এ বছরের বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আমরা ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার হেক্টর জমিয়ে আবাদ করতে পেরেছি। এই মুহূর্তে প্রধান কাজ হলো এই ফসলটা ঘরে তোলা।

সর্বশেষ খবর