বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

মাস্ক ও গ্লাভস পরে দক্ষিণ কোরিয়ায় ভোট

প্রতিদিন ডেস্ক

মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের অনেক দেশ নির্বাচন স্থগিত করলেও সে পথে হাঁটেনি দক্ষিণ কোরিয়া। কভিড-১৯ এর সংক্রমণ  মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সতর্কতা বজায় রেখেই গতকাল দেশটিতে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটাররা এদিন মাস্ক পরে তাদের  ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। সূত্র : বিবিসি।

এবারের নির্বাচনে ৩৫টি দল ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৩০০ আসনের জন্য লড়লেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ক্ষমতাসীন মিনিজো পার্টি ও প্রধান বিরোধী দল রক্ষণশীল ইউনাইটেড ফিউচার পার্টির মধ্যে। জানা গেছে, দেশটির কর্তৃপক্ষ এবার ভোটারদের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে। বুথের বাইরে লাইনে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের দূরত্বও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়; একজনের সঙ্গে অপরজনের দূরত্ব রাখতে হয় ন্যূনতম এক মিটার।  কেন্দ্রে আসা ভোটারদের শরীরের তাপমাত্রাও মেপেছে কর্তৃপক্ষ। এরপর হাত জীবাণুমুক্ত করার পর দেওয়া হয় প্লাস্টিক গ্লাভস। নির্বাচনের আগে অবশ্য অনেকেই মহামারীর মধ্যে ভোটগ্রহণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ানরা শেষ পর্যন্ত সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন। বিবিসি জানিয়েছে, দেশটিতে গত শুক্র ও শনিবার ছিল আগাম ভোটের সুযোগ। ডাকের মাধ্যমে অথবা নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে সেই আগাম ভোটে অংশ নিয়েছেন রেকর্ড এক  কোটি ১০ লাখেরও বেশি ভোটার। এ সংখ্যা দেশটির মোট জনগোষ্ঠীর ২৬ শতাংশ। গতকালও কর্তৃপক্ষের দেওয়া নির্দেশনা মেনেই ভোটাররা বিভিন্ন বুথে ভিড় জমিয়েছেন; পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে নিজের অবস্থান জানাতে ধৈর্য ধরে অপেক্ষাও করেছেন। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়া তার ইতিহাসে কখনই কোনো নির্বাচন স্থগিত করেনি। ১৯৫২ সালের কোরীয় যুদ্ধের সময়ও দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছে। তবে এবারের প্রেক্ষাপট খানিকটা ভিন্ন; সংক্রমণের ঝুঁকি এড়িয়ে কী করে নির্বাচন করা যাবে, কর্তৃপক্ষের জন্য সেটিই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। কর্মকর্তারা পরে ভোট দিতে আসা কোনো ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে তাকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করে পৃথক ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যান। এর পাশাপাশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত চিকিৎসাধীন ভোটারদের ডাকের মাধ্যমে ব্যালট পাঠানোর সুযোগ দেওয়া হয়। মৃদু উপসর্গ থাকা আক্রান্তদের চিকিৎসা কেন্দ্রের বাইরেও পৃথক বুথ রাখা হয়। কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৬০ হাজার ভোটারকে বিকাল ৫টা ২০ মিনিটের পর সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া ভোট কেন্দ্রগুলোতে যেতে বলা হয়। তবে তারা কোনো গণপরিবহন ব্যবহার করেননি।

সর্বশেষ খবর