শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

এমন নয় যে প্রতি মাসে রাস্তায় বিক্ষোভ হয়

---- ড. রুবানা হক

রুহুল আমিন রাসেল

এমন নয় যে প্রতি মাসে রাস্তায় বিক্ষোভ হয়

পোশাকশিল্পের আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সক্রিয় সমর্থন ছাড়া বেতন পরিশোধ করতে না পারা কারখানাগুলোর সমস্যা সমাধান সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়েছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক। তিনি শ্রমিকদের চলমান বিক্ষোভ সম্পর্কে বলেছেন, ‘এমন নয় যে প্রতি মাসে বাংলাদেশে রাস্তায় পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ হয়। আমাদের প্রশ্ন,      গণপরিবহন না চালিয়ে, পুরো লকডাউন দিয়ে, শিল্পটি কীভাবে নির্বিঘ্নে মজুরি পরিশোধ করবে বলে আশা করা হচ্ছে?’

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক। তিনি বলেন, ‘এত বাধা সত্ত্বেও বিজিএমইএর সদস্য-কারখানার ৮৭ শতাংশ শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ করা হয়েছে। অন্যদের মজুরি পরিশোধের জন্যও অক্লান্তভাবে কাজ করছি। পোশাকশিল্প মালিকদের হয়তো সাময়িক কিছু বিচ্যুতি হবে। তবে আমরা তা কাটিয়ে উঠব। এটি বিশ্বব্যাপী সংকটের পরিণতি হিসেবেই ঘটেছে।’

তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আসুন, আমরা প্রাথমিক কারণটির ওপর মনোনিবেশ করি। একক বিষয় হিসেবে ক্রেতারা আমাদের সহযোগিতা করছেন এবং বাতিল বা স্থাগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন তার ওপর জোর দিই। বিজিএমইএ প্রথম দিন থেকেই এটি বলে আসছে। কারণ আগে থেকেই টের পেয়েছিলাম যে এক ঝঞ্ঝাময় পরিস্থিতির দিকে আমরা ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছি।’

বিজিএমইএ সভাপতি সর্বশেষ বেতন পরিশোধের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘৮৭ শতাংশ শ্রমিক মজুরি পেয়েছেন। বাকি যেসব কারখানা পরিশোধ করেনি, সেগুলো মূলত ক্ষুদ্র ও মাঝারি। তাদের পেছনে বড় ক্রেতারা নেই। ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোকে তারল্য সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এ কারখানাগুলোকে সহযোগিতা করার জন্য আমরা ব্যাংকগুলোর কাছে যাচ্ছি। বিজিএমইএর অনুরোধে সাড়া দিয়ে ব্যাংকগুলোও সহযোগিতা প্রদানের চেষ্টা করছে। তবে এমন ছোট ছোট কারখানাও রয়েছে, যেগুলো বিজিএমইএর সদস্য নয়। এসব কারখানার শ্রমিকরা রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছেন। এটিও আজ আমাদের ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।’

ড. রুবানা হক বলেন, ‘আমরা মনে করি, ছোট কারখানাগুলো, তারা সরাসরি অথবা অপ্রত্যক্ষভাবে, যেভাবেই উৎপাদন করুক না কেন, আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সক্রিয় সমর্থন ছাড়া সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। এই ছোট কারখানাগুলোকে সহযোগিতা করা জন্য বিজিএমইএ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে একনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। তবে চ্যালেঞ্জ শুধু তহবিল বিষয়ে ব্যাংকের শর্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বরং পুরো দেশটি লকডাউনের আওতাধীন এবং ব্যাংকগুলো সীমিত সময় খোলা থাকছে। এগুলোও মালিকদের জন্য চ্যালেঞ্জ।’

সর্বশেষ খবর