শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

মুক্তিযোদ্ধার তিন সন্তানকে কোপাল সন্ত্রাসীরা

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সন্ত্রাসী সাইদুল আকন ও তার বাহিনীর লোকজন মুক্তিযোদ্ধার তিন সন্তানকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আহত তিনজনের মধ্যে জাকির হোসেন সিকদার নামে একজনকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ডান পা গুঁড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। বুধবার রাতে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউপির উত্তর তারিকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর তারিকাটা গ্রামের শামসু আকনের কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধা মৃত হাতেম আলী সিকদারের ছেলে জাকির সিকদার ও তোফাজ্জেল সিকদার ১৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ওই জমিতে তারা বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। বুধবার সকালে জাকির সিকদার তার বাড়ির একটি চাম্বল গাছ কাটছিলেন। এ সময় শামসু আকনের ছেলে সাইদুল আকন ও তার সহযোগী সিদ্দিক আকন, রাশেদ আকন ও সবুজ আকন ওই গাছ কাটতে তাকে বাধা দেয়। এ নিয়ে জাকিরের সঙ্গে সাইদুলের কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় সাইদুল।

এ নিয়ে স্থানীয় হাবিবুর রহমান মাতুব্বরের মধ্যস্থতায় ওই দিন রাতে আড়পাঙ্গাশিয়া বাজারে সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তোফাজ্জেল সিকদার ওই সালিশ বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। আড়পাঙ্গাশিয়া ঈদগা ময়দান-সংলগ্ন স্থানে গেলে চারটি মোটরসাইকেলে ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী এসে তাকে ঘিরে ফেলে এবং লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে ছোট ভাই জাকির সিকদার ঘটনাস্থলে যাচ্ছিলেন। পথে ব্রিকফিল্ডের কাছে তাকে ওই সন্ত্রাসীরা রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ডান পা গুঁড়িয়ে দেয়।

জাকির সিকদারের চিৎকারে বোন নুননেহার ও ভাবি সালমা বেগম এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাদেরও কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে এবং তাদের সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। স্বজনরা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরোবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ওই রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

সর্বশেষ খবর