শনিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

বসুন্ধরায় হাসপাতালের কাজ ৭৫ ভাগ সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বসুন্ধরায় হাসপাতালের কাজ ৭৫ ভাগ সম্পন্ন

আসতে শুরু করেছে রোগীর শয্যা। শেষ পর্যায়ে চিকিৎসক ও নার্সদের কক্ষগুলো। অতিরিক্ত টয়লেট নির্মাণ ও এসি বসানোর কাজও শেষের দিকে। করোনা রোগীর চিকিৎসায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) সবচেয়ে বড় অস্থায়ী হাসপাতালটির নির্মাণকাজ ৭৫ ভাগ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই হাসপাতালটি চালুর ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকৌশলীরা। উল্লেখ্য, কভিড-১৯ বিপর্যয় শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সরকারের যত দিন ব্যবহারের প্রয়োজন শেষ না হবে তত দিন আইসিসিবিকে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে। আর ১৫ দিনের মধ্যে আইসিসিবিকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে রূপ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ১২ এপ্রিল কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। দেশে করোনা রোগী দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ের আগেই হাসপাতালটি দৃশ্যমান করতে চলছে নিরলস পরিশ্রম। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে নিয়মিত নির্মাণকাজ তদারকি করছেন অধিদফতরের একাধিক প্রকৌশলী। সঙ্গে থেকে সহযোগিতা করছেন বসুন্ধরার প্রকৌশলীরা। গতকাল স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আইসোলেশন সেন্টারের ৭৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে আমাদের বেড চলে এসেছে। এসি স্থাপন ও টয়লেট বানানোর কাজ পাশাপাশি চলছে। চিকিৎসক ও নার্সদের কক্ষগুলো তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। আমাদের সময়সীমা ২৫ এপ্রিল। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের আগেই হাসপাতালটির নির্মাণকাজ শেষ করতে পারব।’ আইসিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম জসীম উদ্দিন বলেন, ‘আড়াই শর ওপরে বেড হল-২-এ সেটআপের কাজ চলছে। এটার সরবরাহ এসে গেছে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর যেভাবে কাজ করছে তাতে আগামী ২৪-২৫ তারিখে আমরা রোগী গ্রহণ করতে পারব বলে আশা করছি। মহতী এ উদ্যোগের সমাপ্তিতে করোনা রোগীর চিকিৎসায় দেশ পাবে ২ হাজার শয্যার বিশাল এক আইসোলেন সেন্টার। একই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের সুরক্ষায় থাকবে ৭১ ইউনিটের একটি বিশেষায়িত আইসিইউ।’ উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণে আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দিতে সরকারকে আইসিসিবিতে ৫ হাজার শয্যার একটি সমন্বিত অস্থায়ী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দিলে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল পরিদর্শন করে হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। নানা হিসাব-নিকাশ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সেখানে ২ হাজার শয্যার হাসপাতাল ও ৭১ শয্যার আইসিইউ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। আইসিসিবির সুবিশাল চারটি কনভেনশন হল ও একটি এক্সপো ট্রেড সেন্টারে দেশের অন্যতম বৃহৎ এ হাসপাতালটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে সরকারের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর