মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা
করোনা লকডাউন

আড়াই লাখ বাসিন্দা লন্ডন ছেড়ে গ্রামে

আ স ম মাসুম, যুক্তরাজ্য

লকডাউনের আগে লন্ডন ছেড়ে গ্রামাঞ্চলে চলে গেছেন প্রায় আড়াই লাখ বাসিন্দা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, ২৩ মার্চ লকডাউন শুরুর আগে হাজার হাজার নগরবাসী যুক্তরাজ্যের কম জনবহুল অঞ্চলে স্থানান্তরিত হন। কেবল লন্ডন ছেড়েই গ্রামাঞ্চলে চলে যান প্রায় আড়াই লাখ বাসিন্দা।

এই গবেষণাটির জন্য বিজ্ঞাপন সংস্থা কুয়েবিকের স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন থেকে সংগৃহীত ডাটা বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষণা অনুসারে, বেশির ভাগ লোক ইস্ট ইংল্যান্ড ও সাউথ ইস্টের দিকে গেছেন, যাদের বড় অংশই মার্চের প্রথমদিকে স্থানান্তরিত হন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, লোকজন ১২ মার্চ থেকেই লন্ডন ছেড়ে যেতে শুরু করেন। লকডাউনের পরেও এ ধারা চলে। লকডাউনের পরের ১৫ দিনের মধ্যে স্থানান্তরিত লোকের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় আড়াই লাখ। যারা লন্ডন ছেড়ে গেছেন তাদের ৫০ শতাংশেরও বেশি লোকের গন্তব্য ছিল ইংল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলে। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে গেছেন ২৫ শতাংশ। বাকি ২৫ শতাংশ গেছেন দেশের অন্যান্য অঞ্চলে। অন্যদিকে ম্যানচেস্টার ও বার্মিংহাম থেকেও হাজার হাজার মানুষ অন্যান্য অঞ্চলে স্থানান্তরিত হয়েছেন। লন্ডনের উদ্দেশ্যে ম্যানচেস্টার ছেড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। ইয়র্ক থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে গেছেন অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। বার্মিংহাম সিটি থেকে আশপাশের টাউনগুলোতে (ওয়েস্ট মিডল্যান্ড) স্থানান্তরিত হয়েছেন প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দা।

স্কুল চালু হবে কবে জানে না সরকার : ব্রিটিশ সরকারের এডুকেশন সেক্রেটারি গ্যাভিন উইলিয়ামসন বলেছেন, আবার কখন স্কুলগুলো চালু হবে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। নির্দিষ্ট কোনো তারিখ দেওয়া সম্ভব নয়। গত রবিবার সরকারের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, এই গ্রীষ্মে স্কুল খোলার কোনো পরিকল্পনা নেই। শিশুদের উদ্দেশ্য করে উইলিয়ামসন বলেন, ‘আমি তোমাদের বলতে চাই যে, এভাবে তোমাদের পড়াশোনা বিঘিœত হওয়ায় আমি দুঃখিত। আমি তোমাদের জানাতে চাই, তোমরাও এই লড়াইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং তোমরা যা করছ তার জন্য আমি তোমাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

মসজিদের কারপার্কে অস্থায়ী মর্গ : করোনা মহামারী সংকটের সময় বার্মিংহাম স্মলহিথের একটি মসজিদের কার পার্ককে পরিণত করা হয়েছে মর্গে। বার্মিংহামের গোল্ডেন হিলক রোডের সেন্ট্রাল জামে মসজিদ গামকুল শরিফের এই অস্থায়ী মর্গে সংরক্ষণ করা হচ্ছে কয়েক ডজন কফিন। এখানে প্রায় দেড়শ লাশ সংরক্ষণ করা যাবে। এই কার্যক্রম চালাতে স্বেচ্ছাসেবীদের মসজিদ কর্তৃপক্ষই অর্থায়ন করছে পুরোপুরি। এ ছাড়া করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণকারী স্থানীয়দের মধ্যে প্রতিদিনই চার-পাঁচটি করে লাশ দাফন ও শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হচ্ছে। কভিড-১৯-এর কারণে মৃতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় অস্থায়ী মর্গটি সব ধর্মাবলম্বীর জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

ছাড়া পেলেন দুই রোগী : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য লন্ডনের এনএইচএস নাইটিঙ্গেল জরুরি হাসপাতাল থেকে প্রথম কভিড-১৯ রোগীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রবিবার বিকালে নিউহ্যামের এক্সেল সেন্টারে হাসপাতাল থেকে যখন সাইমন চুং ও অপর এক ব্যক্তি ঘরে ফিরছিলেন তখন এনএইচএস কর্মীরা তাদের করতালির মাধ্যমে বিদায় জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর