বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা
র‌্যাবের অভিযান রাজধানীতে

বিপুল করোনা টেস্টিং কিট জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর শাহজাহানপুরের শহীদবাগ ও নিকুঞ্জ এলাকার দুটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে আমদানি করা অনুমোদনহীন এক হাজার ২০০ করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট, বিপুলসংখ্যক হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হ্যান্ড গ্লাভস উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এসব ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও ১২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহীদবাগ মসজিদ সংলগ্ন একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩০০ করোনা শনাক্তের অবৈধ কিট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসুর আদালত তাহা আক্তার (২৬), রকিব উদ্দীন (৩৮) এবং শফিকুল ইসলামকে (৩০) এক বছর ৯ মাস করে কারাদ  দেয়। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে দুই লাখ করে মোট ছয় লাখ টাকা জরিমানা করে। অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাসের কারাদে র আদেশ দেয় আদালত। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, ওষুধ প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া এই প্রতিষ্ঠানটি কিট সংগ্রহ করেছিল, যা তারা কোনোভাবে করতে পারে না। সবচেয়ে বড় বিষয়, এই কিটের মান নেই। তারপরও তারা এসব কিট সরবরাহ করছে। মানুষের জন্য জীবনহানিকর এসব কিট দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছিল বলে জানায় র‌্যাব। এদিকে, বিকাল তিনটার দিকে নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার ২০ নম্বর রোডের একটি বাসার দোতলায় ৯০০টি করোনা শনাক্তকরণ কিট মজুদের আস্তানার সন্ধান পায় র‌্যাব। এছাড়া সেখানে মানহীন হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভসের মজুদ ছিল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই চক্রটি দেশের বিভিন্ন এলাকায় এসব সামগ্রী বিক্রি করে আসছিল। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসুর আদালত বোরহান উদ্দীন খান (৩০) এবং তৈয়বুর রহমান খানকে (৩৪) ১ বছর ৯ মাস করে সাজা দেয়। পাশাপাশি তিন লাখ টাকা করে মোট ৬ লাখ টাকা জরিমানা করে। অনাদায়ে আরও তিন মাসের দে র আদেশ দেয় আদালত। ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ আরও বলেন, জব্দ করা কিট এবং অন্যান্য সামগ্রী স্বাস্থ্য অধিদফতর, বিএসটিআই কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত নয়। এসব কিট বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহ করা হতো। তারা এসব কিট জেলা-উপজেলা শহরে বেশি দামে বিক্রি করত। তারা কোনোরকম অনুমতি ছাড়া অবৈধ উপায়ে বিদেশ থেকে আমদানি করেছে। এমনও হতে পারে তারা এগুলো দেশেই নকলভাবে বানিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর