করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট ৪০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ছয়জন চিকিৎসক রয়েছেন। তাদের পর্যটন মোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে। বাকিরা প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও আগামী দুদিনের মধ্যে সবার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও লকডাউন করা হয়েছে রামেক হাসপাতালের ৪২ নম্বর ওয়ার্ড। গতকাল বিকালে তাদের চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর পর ওয়ার্ড লকডাউন করে কর্তৃপক্ষ। রামেক হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন রোগীর করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আবদুস সোবহান নামের ৮০ বছর বয়সের ওই রোগী ১৭ এপ্রিল রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। প্রথমে তাকে ৪২ ও পরে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে নেওয়া হয়। এক্স-রে করার পর করোনার লক্ষণ পাওয়া গেলে তাকে সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার পর করোনা পাওয়া যায়। এই করোনা রোগী নিয়ে হাসপাতালকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে চিকিৎসকদের প্রকাশ্যে নিয়মিত ব্রিফিং বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ডা. আজিজুল হক আযাদ বলেন, সংক্রমক হাসপাতালে ভর্তি রোগীর বয়স ৮০ বছর।
তাকে বুঝতে আমাদের দেরি হয়ে যায়। কারণ তিনি বলেননি বাহির থেকে আসা কারও সংস্পর্শে গিয়েছিলেন। তিনি জ্বর ও প্রস্রাবের সমস্যার কথা বলে ভর্তি হয়েছিলেন। সেভাবেই তার চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে তার এক্স-রে করার পর করোনার উপসর্গ কিছুটা বোঝা যায়। এরপর তাকে করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ডা. আযাদ বলেন, এই রোগীর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তিনি এখন পর্যন্ত ভালো আছেন। সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতালে তার স্ত্রী ও ছেলে আছেন। তাদেরও গতকাল নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করে দেখা হবে তাদের অবস্থা। এছাড়াও সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতালে আরও যে ৯ জন ভর্তি আছেন তারা সুস্থ আছেন। তাদের নমুনায় করোনা পাওয়া যায়নি। তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। রাজশাহী জেলার আটজনের মধ্যে পুঠিয়া উপজেলায় পাঁচজন, বাঘায় একজন, বাগমারায় একজন ও মোহনপুরে একজন আক্রান্ত আছেন। এদের মধ্যে চারজন নারী ও চারজন পুরুষ। তাদের মধ্যে সাতজন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে এসেছেন।
