রাজধানীর উত্তরায় একটি চীনা প্রতিষ্ঠানের গুদামে নিম্নমানের ও নকল এন-৯৫ মাস্ক মজুদের তথ্য পেয়ে অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এ সময় কমপক্ষে সাত ধরনের এন-৯৫ মাস্ক জব্দ করা হয়। অথচ বিশ্বজুড়ে চিকিৎসকদের জন্য প্রস্তুত করা এন-৯৫ মাস্ক ও এই মাস্কের ধরন এক ও অভিন্ন। অভিযান শেষে নিম্নমানের ও নকল এন-৯৫ মজুদ ও বাজারজাতের অভিযোগে জাহানারা এন্টারপ্রাইজ নামে প্রতিষ্ঠানের দুই মালিককে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাজাপ্রাপ্ত দুজন হলেন- মো. মাসুদ চৌধুরী ও সুজন শেখ। গতকাল সকালে উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৩ নম্বর রোডের ৫৫ নম্বর গাউসুল আজম এভিনিউয়ের ৫/এ ভবনে একটি ফ্ল্যাটে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
তিনি বলেন, চীন থেকে নকল এন-৯৫ মাস্ক আমদানি করে এখান থেকে বিক্রি করা হচ্ছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ৫-৭ রকমের এন-৯৫ মাস্ক জব্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা তথ্য পেয়েছি যে তারা করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) শনাক্তের নকল কিটও বিক্রি করছে। জাহানারা এন্টারপ্রাইজের অফিস থেকে এন-৯৫ মাস্ক বলে বাজারজাত করা হচ্ছিল। কিন্তু এগুলো এন-৯৫ মাস্ক নয়। তবে সাধারণ মাস্কের মধ্যে এর মান একটু ভালো। বাজারে সংকট তৈরি হবে ভেবে আমরা মাস্কগুলো জব্দ না করে কিছু নমুনা রেখেছি। জাহানারা এন্টারপ্রাইজের দুই মালিককে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জানা গেছে, উত্তরার ওই ফ্ল্যাটটি কে. এস. এমব্রয়ডারি অ্যান্ড পাঞ্চিং লিমিটেডের হেড অফিস ও ফ্যাক্টরি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।এর আগে গত ২১ এপ্রিল অনুমোদন ছাড়া আমদানি করা করোনাভাইরাসের টেস্টিং কিট মজুদ ও বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেতে নিকুঞ্জের ২০ নম্বর রোডের ১০ নম্বর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৯০০ কিট জব্দ করে র্যাব। একই দিন রাজধানীর রাজারবাগ এলাকার শহীদবাগে অভিযান পরিচালনা করে ৩০০ কিট জব্দ ও তিনজনকে এক বছর নয় মাস করে কারাদ দেওয়া হয়।
