শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা
বন্দর সচল রাখতে যত উদ্যোগ

বন্দরে পণ্যবাহী কনটেইনার খালাসের নির্দেশ এনবিআরের

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরে সৃষ্ট জট কমাতে পণ্যবাহী কনটেইনার খালাসের নির্দেশনা জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। সংস্থাটি অফডকসমূহে (প্রাইভেট আইসিডিসমূহ) অনুমোদিত পণ্যের অতিরিক্ত পণ্য সাময়িকভাবে সংরক্ষণ ও আনস্টাফিং করা এবং অফডকসমূহ থেকে খালাসের অনুমতি প্রদান করেছে। বন্দরের জট কমাতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে এই আদেশ জারি করেছে এনবিআর। তবে জনস্বার্থে জারি হওয়া এই আদেশ ৩০ জুনের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে বলে জানিয়েছে এনবিআর। গতকাল এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (শুল্ক নীতি) মোহাম্মদ মেহরাজ-উল-আলম সম্রাট স্বাক্ষরিত আদেশে আরও বলা হয়- কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরে সৃষ্ট কনটেইনারজট নিরসনের লক্ষ্যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের আলোকে চট্টগ্রাম বন্দরে আগত সব ধরনের পণ্যর চালান খালাস প্রদানের অনুমতি প্রদান করা হলো। ওই আদেশে দেওয়া কয়েকটি শর্তে বলা হয়- অফডকসমূহে স্থানান্তরের সময় শতভাগ কনটেইনার আবশ্যিকভাবে স্কানিং করতে হবে এবং স্ক্যানিংয়ের রিপোর্ট যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। অফডকে স্থানান্তরিত সব কমার্শিয়াল পণ্যচালান আবশ্যিকভাবে কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের প্রতিনিধির সমন্বয়ে যৌথভাবে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষ পণ্য ওঠানোনামানো ও সংরক্ষণ করতে পারলেও পণ্যের শুল্কায়ন ও কোথা থেকে কোন পণ্য খালাস নেওয়া যাবে, তা ঠিক করে রাজস্ব বোর্ড ও এর আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টমস। জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া সাধারণ ছুটি দুই দফা বাড়ানোর পর চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাসের হার রেকর্ড পরিমাণে কমে যায়। এতে বন্দর চত্বরে নতুন করে জাহাজ থেকে কনটেইনার নামিয়ে রাখার জায়গা ধীরে ধীরে সংকুচিত হতে থাকে। করোনা পরিস্থিতির আগে বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া ৩৮ ধরনের আমদানি পণ্য বেসরকারি ডিপোতে নিয়ে খালাসের সুযোগ ছিল। বন্দরে জট শুরুর এক সপ্তাহ আগে আরও ছয় ধরনের পণ্য ডিপোতে সরিয়ে নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছিল এনবিআর।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর