কভিড-১৯ করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের শেষ নেই। এটি নতুন ভাইরাস হওয়ায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। মানুষের এমন আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে অনেক ‘মৌসুমি করোনা বিশেষজ্ঞ’ জুটেছেন যারা করোনা আতঙ্ককে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বিশেষ করে সংবাদপত্র, কাপড়সহ নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের মধ্য দিয়ে করোনা ছড়ায় কিনা- তা নিয়ে জিজ্ঞাসার শেষ নেই। বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে গত  ১৭ এপ্রিল এমনই কিছু প্রশ্নের উত্তর প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। এতে যা উল্লেখ করা হয়েছে- ছাপা সংবাদপত্র ও প্যাকেটজাত দ্রব্য : মেইল ও প্যাকেটজাত দ্রব্য থেকে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি খুবই কম।  কোনো প্যাকেটজাত দ্রব্য খুলে কিংবা ছাপার সংবাদপত্র পড়ে কেউ অসুস্থ হয়েছেন- এমন প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নিজেদের ওয়েবসাইটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, সংবাদপত্র, মেইল ও প্যাকেটজাত দ্রব্য থেকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নেই বললেই চলে। কেউ আক্রান্ত হয়েছেন- এমন প্রমাণও পাওয়া যায়নি।

কাপড় ছেড়ে গোসল করা : যারা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছেন তাদের মুদি দোকান, ফার্মাসিতে মাঝে মাঝে যেতেই হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘরে ফেরার পর কাপড় পরিবর্তন কিংবা গোসল করার প্রয়োজন নেই। তবে সবসময় বাইরে থেকে আসার পর হাত পরিষ্কার করতে হবে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের জীবাণু বাতাসে আধ ঘণ্টা থাকতে পারে। তবে বাতাসে সেই জীবাণুর কণা এতই ক্ষুদ্র যে- তা থেকে আপনার সংক্রমণের ঝুঁকি একেবারে নেই বললেই চলে।  

চুল ও দাড়িতে ভাইরাস থাকতে পারে কিনা : যদি আপনি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলেন তবে আপনার এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এ ছাড়া কেউ যদি আপনার মাথায় এসে হাঁচি বা কাশি দেন- তাহলেও সংক্রমণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যাওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যে ব্যক্তি হাঁচি-কাশি দিয়েছেন, তার শরীরে ভাইরাস থাকলে এবং হাঁচি-কাশির মধ্য দিয়ে পর্যাপ্ত কণা আপনার শরীরে পড়লে এবং আপনি তা স্পর্শ করার পর মুখের যে কোনো অংশে লাগালে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। না হলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।