শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা
গাজীপুরে চারজনকে গলা কেটে হত্যা

ধর্ষণের আলামত পেয়েছে পুলিশ

খায়রুল ইসলাম, গাজীপুর

গাজীপুরের শ্রীপুরে মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী ও তার তিন সন্তানকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল সকালে নিহত গৃহবধূ ফাতেমার শ্বশুর আবুল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা খুনের পূর্বে গৃহবধূকে ‘ধর্ষণ’ করা হয়েছিল।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী জানান, চারজনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় গৃহবধূর শ্বশুর আবুল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর  দেবর আরিফসহ কয়েকজনকে থানায় আনা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও পিবিআই ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার সামসুন্নাহার ঘটনাটি রোমহর্ষক উল্লেখ করে বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে খুনের আগে গৃহবধূকে ‘ধর্ষণ’ করা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছি। আশা করি শিগগিরই খুনিদের খুঁজে পাব। তবে পেছনের ঘটনা কি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি, শিগগিরই রহস্য উদঘাটন করতে পারব। অপরাধীদের ধরতে একাধিক টিম মাঠে রয়েছে।

এদিকে, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে চারজনের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল ময়নাতদন্ত শেষে নিহত গৃহবধূ ফাতেমার শ্বশুর আবুল হোসেন লাশ বুঝে নেন। তাদের লাশ দাফনের জন্য ময়মনসিংহের পাগলা এলাকায় নেওয়া হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীপুর উপজেলার  জৈনাবাজার এলাকায় আবদার গ্রামে দোতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় স্বজনরা মই বেয়ে উঠে মেঝেতে রক্তাক্ত চারজনের মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী, তার দুই মেয়ে এবং এক ছেলের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা, বুধবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা চারজনকে গলাকেটে হত্যা করেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে সিআইডির ফরেনসিক ও ক্রাইম সিনের সাত সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত জব্দ এবং লাশগুলোর সুরতহাল করে। রাতেই লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়।

সর্বশেষ খবর