শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে যোগ হচ্ছে আরও দুই ল্যাব

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর থেকেই শঙ্কা ও সংশয় ছিল নমুনা পরীক্ষায় ল্যাব সংকট নিয়ে। তবে চট্টগ্রামে করোনা রোগী দেখা দেওয়ার ২০ দিন পর চালু হচ্ছে নমুনা পরীক্ষায় আরও দুটি ল্যাব। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ল্যাব গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। তাছাড়া চমেকেও এ সপ্তাহে ল্যাব চালু করার কথা। বর্তমানে চট্টগ্রামে একমাত্র ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের  (বিআইটিআইডি) ল্যাবেই করোনাভাইরাস শনাক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

জানা যায়, আজ (শনিবার) থেকে সিভাসুর ল্যাবে করোনাভাইরাস  শনাক্তকরণ কার্যক্রম শুরু হবে। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি কর্তৃপক্ষ করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে সিভাসুতে পাঠাবে। সিভাসু ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করবে। সিভাসুর পুরনো একাডেমিক ভবনের নিচতলায় সুপরিসর কক্ষে স্থাপন করা হয় একটি পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিন। পর্যাপ্ত কিট পাওয়া গেলে এ ল্যাবে দৈনিক ২০০-২৫০ নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। 

সিভাসুুর ল্যাব ইনচার্জ প্রফেসর ড. জুনায়েদ ছিদ্দিকী বলেন, সিভাসু ল্যাবের জন্য ৪০ শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রস্তুত। এর মধ্যে আছে সিভাসু, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইউএসটিসি ও চমেকের মাস্টার্স, ইন্টার্ন ও পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থী। ছয়জন করে তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে তারা দায়িত্ব পালন করবেন। অন্যদিকে, গত সোমবার দুপুরে চমেকে আসে একটি পিসিআর মেশিন, কিটসহ সরঞ্জাম মিলিয়ে মোট ২৫টি কার্টন। কলেজের একাডেমিক ভবনের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে মেশিনটি স্থাপন করা হবে। তবে কক্ষটি দীর্ঘদিন অব্যবহৃত ছিল। তাই এটি পরিপূর্ণভাবে পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে। এ কাজ শেষ করতে আরও কয়েকদিন লাগতে পারে। চমেকের উপ-অধ্যক্ষ ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, পিসিআর মেশিন বসানোর আগে কক্ষটি পরিষ্কারের কাজ চলছে। কারণ এটি অনেকদিন অব্যবহৃত ছিল। ফলে সম্পূর্ণ পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। সবকিছু সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে খুব শিগগিরই করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শুরু করা হবে। জানা যায়, বর্তমানে বিআইটিআইডির ল্যাবে দৈনিক দুই শতাধিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু জনবল ও মেশিনসহ নানা সংকটে দৈনিক পরীক্ষা করা সম্ভব হয় ১০০ থেকে ১২০টি। ফলে এখানে সংগ্রহ করা নমুনা জমে থাকে। এ দুটি ল্যাব চালু হলে কিছুটা হলেও সংকট কাটবে বলে জানা যায়।

 

সর্বশেষ খবর