রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের সব দেশের যেমন অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি শিক্ষাব্যবস্থায়ও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে আমাদের দেশে করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাব্যবস্থার যে ক্ষতি হচ্ছে তা কাটিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে শিক্ষকরা যদি তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন, তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে শিক্ষাব্যবস্থা স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসা সম্ভব বলে আমি মনে করি।’ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, তা এ মুহূর্তে বলা কঠিন। তবে আমরা আশা করছি আগামী জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। আর সেই সময় থেকে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। অন্য সব চ্যালেঞ্জের মধ্যে একটি হলো শিক্ষাব্যবস্থাকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসা। করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যে সময় বন্ধ থাকছে, সেই সময়গুলো দ্রুত পুষিয়ে দিতে হবে। এ জন্য এগিয়ে আসতে হবে শিক্ষকদেরই। তারা যদি সঠিক সময়ে ক্লাস নেন, পরীক্ষার খাতা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মূল্যায়ন করেন তবে একটু সময় লাগলেও শিক্ষাব্যবস্থায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে লক্ষ্য করেছি, কিছু শিক্ষক নির্ধারিত সময়ে ক্লাস নেন না, ক্লাস শেষ করেন না।
আবার তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষার খাতাও মূল্যায়ন করেন না। তাদের কারণে সেশনজট হয়। ক্ষতি হয় শিক্ষার্থীদের। তাই শিক্ষকরা যদি দায়িত্বশীল হন, তবে এই করোনাভাইরাসের জন্য যে সময়গুলো নষ্ট হচ্ছে, সেই সময়গুলো কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা আরও বলেন, আমাদের দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন কারণে মাসের পর মাস বন্ধ ছিল। ফলে সেশনজট দেখা দিয়েছিল। তেমনি আবারও যে সেশনজট দেখা দেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীদর কথা বিবেচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কোর্স শেষ করে পরীক্ষা নিয়ে রেজাল্ট দিতে পারলে আবারও শিক্ষাব্যবস্থায় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।