মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

এসএমএসে মিলবে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর

প্রিন্ট করতে পারবেন নিজেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

অনলাইনে ৬ সেবা দিচ্ছে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ। এরমধ্যে মোবাইল এসএমএসে পাওয়া যাবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর। যারা ভোটার হয়েছেন, এনআইডি পাননি তারাও অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে এনআইডি কপি (প্রিন্ট) সংগ্রহ করতে পারবেন। গতকাল অনলাইন ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, করোনা মহামারীর এই সংকটময় পরিস্থিতিতে এনআইডি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে অনলাইন সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। অনলাইনের এই সেবা পেতে ভোটারকে https://services.nidw.gov.bd সাইটে প্রবেশ করতে হবে। বন্ধের এই সময় এসএমএস, অনলাইন ও অন্যান্য মাধ্যমে সেবা পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের ছুটির মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভার আপগ্রেট করে বিশ্বমানের করা হয়েছে। ফলে ‘সার্ভার নেই’ সমস্যাটি আর থাকবে না। ২০০৯-১০ সালের সার্ভারটি এই সময় আপগ্রেড করতে পেরেছি। আশা করি এখন থেকে ভালো সার্ভিস দিতে পারব। অনলাইনে এনআইডি সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, এটার জন্য একটু সময় লাগবে। তবে আবেদনের ভিত্তিতে সেটা সমাধান হলো কিনা, তা জানিয়ে দেওয়া হবে। অনেক আবেদন জমা ছিল, যারা অধিকতর তথ্য-প্রমাণ সরবরাহ করেছেন ও তাদের আবেদনের কাজ হচ্ছে। এছাড়া অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়ার জন্যও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে আবেদন করতে পারবেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগ জানিয়েছে, যেসব সেবা পাওয়া যাবে তা হলো- এনআইডির কপি সংগ্রহ (ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন কিন্তু এনআইডি কার্ড পাননি), এনআইডি নম্বর সংগ্রহ, এনআইডি সংশোধন, হারানো এনআইডির জন্য আবেদন, নতুন ভোটার নিবন্ধন ও এসএমএস সেবা। মোবাইলের এসএমএসের মাধ্যমে এনআইডি নম্বর পাওয়ার পদ্ধতি- nid<formNo><dd-mm-yyyy> লিখে ১০৫ পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে এনআইডি নম্বর পাওয়া যাবে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গত ২ মার্চ সর্বশেষ হালনাগাদ করা ভোটার তালিকা প্রকাশিত ৬৯ লাখ ৫৮ হাজার ৩৪১ জন নতুন নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে যারা কার্ড পাননি তারা তাদের নিবন্ধন ফরম নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করবেন।

পরে বায়োমেট্রিক যাচাই শেষে এনআইডি কপি বা নম্বর পাবেন তারা। তবে দ্বৈত ভোটার হলে এনআইডি কপি বা নম্বর পাওয়া যাবে না। যারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন কিন্তু এনআইডি কার্ড পাননি তারা https://services.nidw.gov.bd ওয়েব সাইটে ‘অন্যান্য তথ্যের’ ট্যাবে গিয়ে এনআইডি নম্বর লিংকে ফরম নম্বর ও জন্ম তারিখ দিলে আবেদনকারীর এনআইডি নম্বর পাবেন। যারা এনআইডি নম্বর পেয়েছেন  তারা অনলাইন পোর্টালের তথ্য ও মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে সেখানে লগইন করতে পারবেন। এরপর আবেদনকারী ফরমের এন্ট্রি করা সব ডাটা দেখতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন করা ব্যক্তি যদি আগে কার্ড না পেয়ে থাকেন তিনি চাইলে পোর্টাল হতে এনআইডির কপি সংগ্রহ করতে পারবেন। কোনো ব্যক্তি যদি এনআইডি হারিয়ে ফেলেন অথবা সংশোধন করতে চান তাবে তিনি প্রয়োজনীয় দলিলাদি সংযুক্ত করে অনলাইনে এ আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদনকারী এনআইডি কার্ডের আবেদনের বর্তমান অবস্থান জানতে পারবেন। আবেদন অনুমোদিত হলে আবেদনকারী এসএমএস পাবেন এবং পোর্টাল হতে পুনরায় এনআইডি কপি সংগ্রহ করতে পারবেন। যেসব যোগ্য নাগরিক ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হননি, তারা অনলাইনে (https://services.nidw.gov.bd) ঠিকানায় ভোটার নতুন নিবন্ধনের আবেদন করে রাখতে পারবেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সংশ্লিষ্ট  থানা, উপজেলা ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে এসে বায়োমেট্রিক দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ করবেন। পরবর্তীতে তাদের আবেদন যাচাই-বাছাই করে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে ও জাতীয় পরিচয়পত্র  দেওয়া হবে। রমজান মাসে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের হেল্পলাইন কল সেন্টারে ১০৫ নম্বরে ফোন করে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সেবা পাওয়া যাবে।

সর্বশেষ খবর