মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

হুর অনুমোদন পেল ভিয়েতনামের কিট

প্রতিদিন ডেস্ক

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের থাবায় যখন গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত, তখনই নতুন টেস্ট কিট নিয়ে এলো ভিয়েতনাম। কিটটি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। সূত্র : ভিয়েতনাম এক্সপ্রেস।

করোনার পরীক্ষায় আরটিপিসিআর কিটটি তৈরি করেছে সমাজতান্ত্রিক ভিয়েতনামের মিলিটারি মেডিকেল ইউনিভার্সিটি এবং একটি কোম্পানি মিলে যৌথ উদ্যোগে।  গত রবিবার কিটটির অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনার সংকটজনক পরিস্থিতিতে অন্য সব দেশকে সহায়তা করতে এ কিট তৈরি করা হয়েছে।  দেশটির তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, অন্যান্য  টেস্টিং কিটগুলোর তুলনায় অনেক দ্রুত ফলাফল দেয় এই কিট। এরই মধ্যে গেল মাসের শেষে এই কিট ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। একটি কিট দিয়ে ৫০টি টেস্ট করা সম্ভব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের মাধ্যমে কিটটি সহজেই অন্যান্য দেশে রপ্তানি করা যাবে। উল্লেখ্য, রবিবার সকাল পর্যন্ত ভিয়েতনামে ২ লাখ ১২ হাজার ১৪২টি টেস্ট করা হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৭০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

২ কোটি ভ্যাকসিন আনবে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট : আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে কভিড-১৯ রোগের ২ কোটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে চায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। পরবর্তী ৩ সপ্তাহের মধ্যে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করে দেবে সেরাম ইনস্টিটিউট। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি অনেক বিদেশি সংস্থার মতো পুনের এই সংস্থাটিকে উৎপাদন প্রকল্পের অংশীদার বানিয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রস্তাবিত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের এক ডোজের দাম ১ হাজার রুপি নির্ধারণ করার কথা জানিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদার পুনাওয়ালা বলেন, মে মাসের মধ্যে ভারতে আক্রান্ত কয়েকশ ব্যক্তির ওপর এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল দেওয়া হবে।

ট্রায়াল সফল হলে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ বাজারে আনা হবে ভ্যাকসিন। আমরা ভ্যাকসিনটি একটি সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহ করার পরিকল্পনা করেছি। এটি ১০০০ রুপির মতো, যা আমাদের উৎপাদনের খরচ। পুনাওয়ালা মনে করেন, বৈশ্বিক বাজারের চেয়ে ভারতে দাম কমই ধরা হবে। কারণ এমনিতেই হাম-বসন্ত রোগের ভ্যাকসিনের দাম ভারতে অনেক কম। যুক্তরাজ্যের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ কম। পুনাওয়ালা বলেন, ‘সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যে ট্রায়াল শেষ হবে, এরপর আমরা উৎপাদনে যাব- এতদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাই না। এই সিদ্ধান্ত নিজেদের ঝুঁকি ও ব্যয়ে আমরা নিচ্ছি। একদম এককভাবে উৎপাদনের জন্য নেওয়া হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য আগামী ছয় মাসে গড়ে ৪০ থেকে ৫০ লাখ ভ্যাকসিন তৈরি করার। ট্রায়ালের সফলতার ওপর ভিত্তি করে আমরা মাসে ১ কোটি পর্যন্ত ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারব। তবে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ ২ কোটি থেকে ৪ কোটি ভ্যাকসিন আনতে পারব আমরা। যদি এই ভ্যাকসিন সফল হয়, তাহলে ভারতসহ বিশ্বের আরও অনেক দেশের জন্য আমরা এই ভ্যাকসিন তৈরি করব।’

সর্বশেষ খবর