বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

নিম্নমানের মাস্ক নিয়ে অভিযোগ করায় ওএসডি ও বদলি

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) থেকে চিকিৎসকদের জন্য দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল নিম্নমানের ফেস মাস্ক। এসব নিম্নমানের মাস্ক গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি এবং এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারই খেসারত দিতে হয়েছে ওইসব হাসপাতাল পরিচালকদের। জানা গেছে, নিম্নমানের মাস্ক গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানোয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মঞ্জুর মোর্শেদকে বদলি করা হয়েছে। গতকাল ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) করে চিঠি দেওয়া হয়েছে মুগদার ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. শহিদ মো. সাদিকুল ইসলামকে। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. বেলাল হোসেন জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। শহিদ মো. সাদিকুল ইসলাম কভিড-১৯-এ আক্রান্ত। তিনি কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তাই মুগদা মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. শাহ গোলাম নবীকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে হাসপাতালের পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, গত ২৬ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ (পার-২) অধিশাখার উপসচিব শারমিন আক্তার জাহান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. শহিদ মো. সাদিকুল ইসলাম জানান, তিনি গতকাল ওএসডির চিঠি হাতে পেয়েছেন। আর তিনি কভিড-১৯ পজিটিভ নন। নমুনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

নিম্নমানের মাস্কের বিষয়ে অভিযোগ করায় ওএসডি করা হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই বলতে চাই না। কর্তৃপক্ষ জানেন আমাকে কেন ওএসডি করা হয়েছে। এ ছাড়া আপনারা সাংবাদিক বুঝে নিন।

জানা যায়, মুগদা হাসপাতালে ৩০০ মাস্ক দেওয়া হলে সেগুলোর মোড়কে ‘এন-৯৫ ফেস মাস্ক’ লেখা দেখে চিকিৎসকদের সংশয় তৈরি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অধিদফতরের মহাপরিচালককে এ বিষয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক কর্মকর্তা জানান, এই মাস্ক দুর্নীতির সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের শক্তিশালী একটি মহল জড়িত। আর নিজেদের এই দুর্নীতি ঢাকতেই তারা যেসব চিকিৎসক এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছিলেন তাদের বদলি এবং ওএসডি করছে।

এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে যে সমস্যার তৈরি হয়েছে তা স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন সিএমএসডি পরিচালক। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বেই এন-৯৫ মাস্কের সংকট রয়েছে বলে সেই সময় জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর