শুক্রবার, ১ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

ডাক্তার আজাদের মৃত্যু নিয়ে অন্ধকারে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট (বিভাগীয় প্রধান) ডা. এম এ আজাদ সজল হত্যার ঘটনায় দুই দিনেও কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতালের ১৬ জন কর্মীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও হত্যাকান্ডের কোনো ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি তারা। অথচ ডা. আজাদকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন তার ভাই ডা. শাহরিয়ার উচ্ছ্বাস। তবে পুলিশ বলছে, সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। শিগগিরই রহস্য উন্মোচন হবে। এদিকে ডা. আজাদের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত শেষে বিভিন্ন আলামত ও ভিসেরা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে শেবাচিম কর্তৃপক্ষ। গতকাল মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতাল (যেখান থেকে লাশ উদ্ধার হয়েছিল) সরেজমিন পরিদর্শন করে পুলিশ। এ সময় তদন্তের স্বার্থে খুঁটিনাটি সব কিছু তদারক করেন এবং বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন তারা। অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াও সন্দেহভাজনদের গতিবিধি নজরদারি করছেন। তবে মামলার বিষয়ে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রাখছে পুলিশ। শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কামদা প্রসাদ সাহা জানান, একটি মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে ডা. আজাদের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বোর্ডের সদস্যরা ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করেছেন। বিভিন্ন আলামত ও ভিসেরা পরীক্ষার জন্য ঢাকার প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষাগারে এবং শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের হিস্তোপ্যাথলজি বিভাগে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। অপরদিকে ওই ঘটনার পর দুই দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ রয়েছে অন্ধকারে। গত দুই দিনে পুলিশ মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতালের ১৬ জন কর্মীকে পর্যায়ক্রমে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও ডা. আজাদ সংক্রান্ত কোনো তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি। এ কারণে কাউকে গ্রেফতার কিংবা আদালতে পাঠাতে পারছে না পুলিশ। নিহতের ভাই হত্যার অভিযোগে মামলা করলেও কোনো কূলকিনারা করতে পারছে না পুলিশ। তবে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডা. আজাদের লাশ উদ্ধার ঘটনা তদন্ত হচ্ছে এবং শিগগিরই এর রহস্য উন্মোচন হবে আশা কোতোয়ালি থানার ওসি মো. নুরুল ইসলামের। উল্লেখ্য, ডা. এমএ আজাদ নগরীর কালীবাড়ি রোডের মমতা স্পেশালাইজড হাসপাতালে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখতেন এবং ওই ভবনের ৭ম তলায় ডরমেটরিতে থাকতেন। ওই হাসপাতালের লিফটের নিচ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর