শুক্রবার, ১ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

কনটেইনার ডেলিভারিতে গতি চট্টগ্রাম বন্দরে

দুই দিনে ৮ হাজার ৬৮২ টিইইউ’স ডেলিভারি

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

অবশেষে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের কনটেইনার জট খুলতে শুরু করেছে। বেড়েছে কনটেইনার ডেলিভারি। করোনা পরিস্থিতির কারণে আমদানিপণ্যের কনটেইনার ডেলিভারি উদ্বেগজনক হারে কমে আসায় বন্দরে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ কনটেইনার ও জাহাজজট। এ জট কমিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বন্দর কর্তৃপক্ষ, এনবিআর, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের দফায় দফায় বৈঠকও হয়। এসব বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তয়নের ফলে সুফল মিলতে শুরু করেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। কনটেইনার জট কমাতে আগামী ৪ মে পর্যন্ত আমাদানি কনটেইনারের স্টোর রেন্ট সম্পূর্ণ মওকুফ করায় গত দুই দিন ধরে ডেলিভারি গতি ফিরে এসেছে। গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টায় বন্দর থেকে ডেলিভারি হয়েছে আট হাজার ৬৮২ টিইইউ’স (২০ ফুট দীর্ঘ) কনটেইনার। বন্দরের পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৪৯ হাজার ১৮ কনটেইনার ধারণক্ষমতার বন্দরে বর্তমানে রয়েছে ৪৫ হাজার ২৬৫ টিইইউ’স। বুধবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বন্দর থেকে ডেলিভারি হয়েছে চার হাজার ৪৪০ টিইইউ’স। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর ডেলিভারির সংখ্যা নেমে এসেছিল ৫০০-৭০০ কনটেইনারে। এতে উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকে আমদানিপণ্যের কনটেইনার। বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, প্রায় সব ধরনের আমদানিপণ্য স্ক্যানিং করে ১৯টি বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে (অফডক) নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে এখন প্রতিদিন প্রায় এক হাজারের বেশি কনটেইনার অফডকে যাচ্ছে। আগে ৩৮ ধরনের পণ্যই শুধু অফডকে নেওয়া হতো। পাশাপাশি সীমিত আকারে তৈরি পোশাক কারখানা চালু করায় কাঁচামালের চাহিদা বেড়েছে, এতেও বন্দর থেকে কনটেইনার খালাস বাড়তে শুরু করেছে। বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নানা উদ্যোগ এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তারা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ৪ মে পর্যন্ত কনটেইনার ডেলিভারি নিলে আমদানিকারকরা শতভাগ স্টোর রেন্ট ছাড় পাচ্ছেন। এসব মিলে এখন ডেলিভারি বেড়েছে। তবে বন্দর পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে আরও সময় লাগবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর